মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ০৩:৫১ এএম

পানিশূন্য পুকুরে ৭ লাখ টাকার ঘাট নির্মাণ!

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ০৩:৫১ এএম

পানিশূন্য পুকুরে ৭ লাখ  টাকার ঘাট নির্মাণ!

বাস্তবে পুকুরের নেই অস্তিত্ব, আছে ছোট একটি ডোবা। তারপরও নির্মাণ করা হয়েছে পুকুরের ঘাট। এমন ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের চুংলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও ঘটনা সত্য। পুকুর না থাকায় জনকল্যাণে ঘাটটি কোনো কাজেই আসছে না। এতে সরকারের প্রায় সাত লাখ টাকা অপচয় হয়েছে বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকরা।

এলাকাবাসী বলছে, অস্তিত্বহীন পুকুরে মাছের বদলে ব্যাঙের চাষ করা গেলে ফলন ভালো পাওয়া যেত। অযথাই ঘাট বানিয়ে নষ্ট করা হয়েছে সরকারের লাখ লাখ টাকা। এর অর্ধেক টাকা দিয়ে ডোবাটা ভরাট করে দিলে বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারত। ডোবার আশপাশে অনেক বসতবাড়ি রয়েছে। এখন ওই ডোবায় ঘাট হওয়ায় সেখানে থেকে অনেক শিশু পড়ে গিয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। 

জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পুকুর ও খাল উন্নয়ন প্রকল্পে চুংলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুকুরে ঘাট নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। সসমৎ্রতি শেষ হয়েছে ঘাটের নির্মাণকাজ। কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্থানীয়দের মনে ছিল কৌতুহল। 

চুংলিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিমা রানী দাস বলেন, স্কুলের পাশে যে পুকুরের কথা বলা হচ্ছে, সেটি একটি ডোবা। চারপাশের বাড়ির ময়লা পানির আশ্রয়স্থল এটি। জমির পরিমাণ তিন শতাংশ হবে। এখানে সরকারিভাবে ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি এ স্কুলে যোগ দিয়েছি। এর আগেই ঘাটের বরাদ্দ পাওয়া যায়। বাচ্চাদের খেলার কোনো জায়গা নেই। এ কারণে ডোবাটি ভরাট করা গেলে ভালো হতো। এ ঘাট কোনো উপকারে আসবে না। বরং স্কুলের বাচ্চাদের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে।

ঘাট বরাদ্দের সময় স্কুলের দায়িত্বে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইয়াসার হোসেন সিদ্দিকী। তিনি জানান, তার দায়িত্বের সময় এক দিন ঘাটাইলের উপসহকারী প্রকৌশলী খালিদ নামের একজন এসে বললেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি প্রকল্প আছে আপনারা ইচ্ছা করলে গ্রহণ করতে পারেন। এ কথা শুনে ডোবার বাউন্ডারি করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পরে প্রকৌশলী একটি ফরম দেন। সেখানে সই করতে বলেন তিনি। প্রকৌশলীর কথামতো সই করে দেন। এরপর জানতে পারেন ঘাট নির্মাণের প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি যোগ দেওয়ার আগেই ঘাটের ফাইনাল কাজ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে উপসহকারী প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, স্কুল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুয়ায়ী নাকি এ প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল। তবে ওইখানে ঘাটটা করা ঠিক হয়নি।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রকল্প দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সচেতন হতে হবে। জনগুরুত্ব পাবে এমন জায়গায় প্রকল্প দিতে হবে। আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি, ওইখানে ঘাট নির্মাণ না করে টাকাটা জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ব্যবহার করার সুযোগ ছিল।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!