লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দাসের হাট হামিদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুরাদ হাসানের অপসারণের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে দাসের বাজার সড়কে মাদ্রাসার সামনে দাঁড়িয়ে অপসারণের এক দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেন তারা।
পরে বাজারের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং সাবেক শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
আন্দোলনকারীরা অধ্যক্ষ মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, আগের কমিটির মাধ্যমে নিজের প্রভাব-আধিপত্য বিস্তার, মাদ্রাসার অব্যবস্থাপনা, নিম্নমুখী শিক্ষার মান ও বিয়ের নামে নারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ তোলেন। এর আগেও একই দাবিতে গত ১৬ জুলাই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, জনতা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি কামরুল ইসলামো শামিম, চরশাহী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক হৃদয় চৌধুরী, সাবেক শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার, সাইফুল ইসলাম, আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র আকরাম হোসেন, ফরহাদ হোসেন ও ছাত্রী জান্নাতুল আফরিন প্রমুখ।
মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়। আমার কাছে অর্থের হিসেব রয়েছে। মাদ্রাসায় অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মাদ্রাসার কাজে ডিসি অফিসে আছি।’
মাদ্রাসায় অনুপস্থিতির বিষয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে জানা গেছে, আন্দোলনের পর থেকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শঙ্কায় তিনি মাদ্রাসায় যাচ্ছেন না। এমনটিই জানিয়েছেন মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মো. ফখর উদ্দিন।
তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের কারণে যাতে মাদ্রাসার পরিবেশ নষ্ট না হয়, সে জন্য আমরা শিক্ষকরা বসে মিটিং করেছি। অধ্যক্ষ কয়েক দিন থেকে আসছেন না। তবে তিনি মাদ্রাসায় আসলে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবেন। মাদ্রাসায় শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরাতে আমরা শিক্ষক, অভিভাবক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছি।
এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসার সভাপতি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা যায়নি।