মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে একটি জেটি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ঘাটের আরেকটি জেটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় লঞ্চঘাটটি অস্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার এই নৌপথে প্রতিদিন শত শত যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হয়। জেটি ধসে পড়ায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে লঞ্চে ওঠানামার জন্য যাত্রীদের প্রায় আধা কিলোমিটার পশ্চিমে স্থানান্তরিত নতুন ঘাট ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা বাড়িয়েছে দুর্ভোগ।
লঞ্চ মালিকদের পক্ষ থেকে জানান, ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয় এবং যাত্রীদের অসুবিধা কমাতে বিকল্প ঘাট চালু করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর একই সমস্যা দেখা দিলেও আগাম কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ফলে এ বছরও পাটুরিয়া ঘাট বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা পান্নালাল নন্দী বলেন, ‘নদীর প্রবল স্রোতে জেটির খুঁটির নিচের মাটি সরে গেছে। একটি জেটি ধসে পড়েছে, অপরটিও ঝুঁকিপূর্ণ। এখনই ব্যবস্থা না নিলে সেটিও ভেঙে পড়তে পারে।’
আরিচা নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মো. সেলিম শেখ জানান, ‘ঘটনার পরই একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে লঞ্চঘাটকে অস্থায়ীভাবে রিজার্ভ ২ নম্বর ফেরিঘাটে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে তাৎক্ষণিক মেরামত সম্ভব নয়। বর্ষা শেষে উপযোগী পরিবেশে স্থায়ীভাবে মেরামত করে জেটিগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা হবে।’
যাত্রী ও স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত স্থায়ী ও টেকসই মেরামতের ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে যাতায়াত ব্যাহত না হয় এবং ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়ানো যায়।