ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যামের সঙ্গে ১০ বছরের সম্পর্ক ছেদ করে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) পা রাখলেন দক্ষিণ কোরিয়ার তারকা ফরোয়ার্ড সন হিউং-মিন। লস অ্যাঞ্জেলেস ফুটবল ক্লাবের (এলএএফসি) সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন ৩৩ বছর বয়সি এই তারকা। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় দলের অধিনায়ক সন গত মঙ্গলবার নিজ দেশ সফররত টটেনহ্যাম স্কোয়াড থেকে আলাদা হয়ে উড়ে যান লস অ্যাঞ্জেলেসে। সেদিন রাতে তিনি উপস্থিত ছিলেন এলএএফসি বনাম টাইগ্রেস ম্যাচে, গ্যালারিতে বসেই দেখেছেন নতুন দলের খেলা। মাঠের স্ক্রিনে তাকে দেখানো হলে উল্লাসে ফেটে পড়ে দর্শক। এলএএফসি বুধবার সনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা। জানা গেছে, ট্রান্সফার ফি হিসেবে ক্লাবটি ২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি দিয়েছে, যা এমএলএস ইতিহাসে সর্বোচ্চ। টটেনহ্যামের হয়ে সন খেলেছেন ৪৫৪টি ম্যাচ, গোল করেছেন ১৭৩টি। চলতি বছরের মে মাসে ক্লাবকে ইউরোপা লিগ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। লস অ্যাঞ্জেলেসে রয়েছে কোরিয়ার বাইরের সবচেয়ে বড় কোরিয়ান কমিউনিটি। শহরের কোরিয়াটাউন থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই এলএএফসির হোম গ্রাউন্ড বিএমও স্টেডিয়াম। ফলে মাঠ ও মাঠের বাইরেও প্রভাব বিস্তারের সুবর্ণ সুযোগ পাচ্ছেন এশিয়ার অন্যতম সেরা ফুটবলার সন। অনেকে বলছেন, তিনি হতে পারেন ফুটবলে লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্সের জাপানি তারকা শোহেই ওহতানির সমতুল্য একজন ফিগার। সনের বয়স এখন ৩৩। এমএলএসে খেলা লিওনেল মেসি (৩৫), লুইস সুয়ারেজ (৩৭), অলিভিয়ে জিরু (৩৭) বা হুগো লরিসের (৩৭) চেয়ে তুলনামূলক তরুণই বলা চলে তাকে। তা ছাড়া সনের গতি, ফিনিশিং ও পজিশনাল বুদ্ধিমত্তা এলএএফসির গতিময় কাউন্টার অ্যাটাকিং ফুটবলের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। সনের আগমনে এলএএফসি দলে যুক্ত হচ্ছে পুরোনো টটেনহ্যাম সতীর্থ লরিসের সঙ্গে পুনর্মিলন। আর দলের বর্তমান তারকা ফরোয়ার্ড দেনিস বুয়াঙ্গার সঙ্গে মিলে সন গঠন করতে পারেন বিধ্বংসী আক্রমণত্রয়ী।