যানজট, অবৈধ দখল, জলাবদ্ধতা, দুর্গন্ধসহ না অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত সিরাজগঞ্জের প্রাচীন ও বৃহত্তর হাট রায়গঞ্জের সলঙ্গা হাট। হাটের প্রবেশপথে সøুইসগেট ও মাদ্রাসা মোড় নতুন ব্রিজসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় সারা বছরই লেগে থাকে যানজট। বিশেষ করে হাটের দিনগুলোয় যানজটে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এদিকে বর্ষা মৌসুমে হালকা বৃষ্টি হলেও হাট ও এর আশপাশের এলাকায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বাধে জলাবদ্ধতা। এতে স্যাঁতসেঁতে কাদা-পানি আর দুর্গন্ধের কারণে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাভাবিক বেচাকেনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। ঠিকমতো বেচা-বিক্রি না করতে পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা। দুর্বল ড্রেনেজব্যবস্থা আর উন্নয়ন বিমুখতার কারণে সলঙ্গা হাটের এমন অবস্থা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার বসে সলঙ্গা হাট। বর্জ্য ফেলার জায়গা না থাকা ও পানি নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় স্লুইসগেটের নিচে নদীতে হাটের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। স্লুইসগেটে মুরগিপট্টি, মাছপট্টিসহ অন্য স্থানের ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় বিকট দুর্গন্ধ তৈরি হচ্ছে। এতে হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মাছপট্টির নোংরা পানির কারণে আশপাশের দোকানি ও বাড়ির বাসিন্দাদের টেকা দায়।
বর্ষা মৌসুমে কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলে হাটের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান পানি জমে থাক। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজব্যবস্থা না থাকায়, এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। আবার সপ্তাহের সোমবারে গরু হাটে একহাঁটু কাদা জমে থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ডিমহাটি থেকে গুড়হাটি পর্যন্ত পানিতে একাকার হয়ে যায়। মাংসপট্রি, জুতাহাটি থেকে উত্তর দিকে তরকারি হাটির পুরো পাকা রাস্তাটাই কাদা-পানিতে ভরে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী জুয়েল ও হানিফ বলেন, ‘তরকারি হাটির রাস্তায় কাদা-পানিতে চলাচল করা দায়। বছরের পর বছর আমরা এভাবে কষ্ট ভোগ করছি। আবার কাদা-পানি থাকার কারণে বর্ষাকালে আমাদের ক্রেতা অনেকটাই কমে যায়।’
সলঙ্গা বণিক সমিতির নেতারা জানান, গরু-ছাগল ও বিভিন্ন পণ্য বিক্রির প্রাচীনতম হাট সলঙ্গা। প্রতিবছর সরকার রাজস্ব আয় করলেও হাটের উন্নয়নে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই।
সলঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাট ইজারাদার মতিয়ার রহমান সরকার বলেন, ‘আমি হাট ইজারাদারের দায়িত্ব নেওয়ার পর দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনাগুলো ধাপে ধাপে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, সবার সহযোগিতায় দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হবে।’
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ন কবির বলেন, সলঙ্গা হাটের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে অবগত হয়েছি। পর্যায়ক্রমে সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :