মাদারীপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে এক ইজিবাইকচালককে কুপিয়ে জখম ও ইজিবাইক পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বাধা দেওয়ায় তার স্ত্রীকেও মারধর করা হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার খোঁয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোন্দিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ইজিবাইকচালকের নাম রোমান আকন। তিনি একই গ্রামের মৃত আমজাদ আকনের ছেলে এবং অভিযুক্ত দুলাল শরীফ ওই এলাকার মতি শরীফের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, ৬ মাস আগে সদর উপজেলার চরগোন্দীপুর গ্রামের রোমান আকনের ইজিবাইকে ওঠে একই এলাকার দুলাল শরীফের একমাত্র ছেলে তাহসিন। এ সময় ইজিবাইক থেকে পড়ে মারা যায় ৭ বছরের শিশুটি। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশি বসলেও কোনো মীমাংসা হয়নি। এরই জেরে গত শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশে বটতলা চরগোবিন্দপুর সিনিয়র আলিয়া মাদ্রাসার সামনে রোমানকে একা পেয়ে হামলা চালায় দুলাল শরীফ ও তার লোকজন। এ সময় ইজিবাইকচালককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠে।
রোমানের চিৎকারে স্ত্রী হাজেরা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা রোমানের ইজিবাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা আহত রোমান ও তার স্ত্রীকে মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত দুলাল শরীফ।
ইজিবাইকচালকের স্ত্রী হাজেরা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে একা পেয়ে এ হামলা চালায় দুলাল শরীফ ও তার লোকজন। আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। আমি এ হামলার বিচার চাই।’
রোমান আকনের ছেলে লিমন আকন বলেন, ‘আমার বাবার ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের ইজিবাইকটি হামলাকারীরা পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
অভিযুক্ত দুলাল শরীফ বলেন, ‘কে বা কারা রোমানের ওপর হামলা চালিয়ে আমার জানা নেই। পুরোনো ঘটনা নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধও নেই। আমাদের নামে রোমান ও তার পরিবার মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।