সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বেতবাড়ী-শাহজাহানপুর কাঁচা সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে। প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে প্রতিদিন অন্তত আটটি গ্রামের হাজারো মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
বেতবাড়ী, পূর্ব সাতবাড়ীয়া, বন্যাকান্দি, রামকান্তপুর, বেতকান্দি, ছোট লক্ষ্মীপুর, বড় লক্ষ্মীপুরসহ আশপাশের গ্রামগুলো থেকে হাজারো মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জরুরি কাজে যাতায়াত করেন। কিন্তু রাস্তার করুণ অবস্থা শিশু, বৃদ্ধ ও শিক্ষার্থীদের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে এলজিইডি উল্লাপাড়া অফিস থেকে বন্যাকান্দি মোড় থেকে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হলেও চলতি বর্ষায় সেটিও ভেঙে পড়েছে। বাকি তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ। গর্তে পড়ে হালকা যানবাহন কখনো কখনো দুর্ঘটনার শিকার হয়, এতে যাত্রীরা আহতও হয়েছেন। কৃষিপণ্য ও অন্যান্য মালামাল পরিবহনেও ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছে।
স্থানীয় আলমগীর হোসেন ও সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টির দিনে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল প্রায় অসম্ভব। গর্ত আর কাদা-পানির কারণে অনেকেই পথে আটকে যান। বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছে মানুষ।’
পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুস ছালাম জানান, ‘ভারি বর্ষণের কারণে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা কয়েকবার কাজ শুরু করতে চেয়েছি, কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল সীমিত হওয়ায় কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এলজিইডি অফিসেও আবেদন করা হয়েছে, তবে এখনো কাজ শুরু হয়নি।’
এলজিইডি উল্লাপাড়া কার্যালয়ের উপজেলা প্রকৌশলী মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘রাস্তার খারাপ অবস্থা আমরা জানতে পেরেছি। কিছু অংশ ইতিমধ্যে পাকা করা হয়েছে। বাকি অংশের জন্য একটি প্রকল্প প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’
স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তা পাকা করার জন্য সরকারি তৎপরতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন, যাতে তাদের যাতায়াত ও জীবন-জীবিকা সহজ হয় এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
