যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, এখানে সুইপার দিয়েই রোগীদের রক্ত সংগ্রহ করানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি ও জবাবদিহিতার অভাবেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। গত বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি এ হাসপাতালে প্যাথলজি পরীক্ষার জন্য লাইনে দাঁড়ানো রোগীদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করছেন সুইপার সুশান্ত কুমার দাস। বেশিরভাগ রোগী তাকে ল্যাব সহকারী ভেবে নির্ভর করছেন।
হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, প্যাথলজি বিভাগে পারভেজ হোসেন নামে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) আছেন। এ ছাড়া ৪ জন ল্যাব সহকারী- রফিকুল ইসলাম, খাদিজা খাতুন, কামাল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেন। তবুও নিয়মিতভাবে সুইপার সুশান্ত কুমার রোগীদের রক্ত নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
রেজাউল ইসলাম নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘রক্ত নেওয়া ব্যক্তি যে সুইপার, এটা জানলে কখনোই অনুমতি দিতাম না। সরকারি হাসপাতালে এমন অনিয়ম সত্যিই অবাক করেছে।’
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, সুশান্ত কুমার প্রতিদিনই রক্ত সংগ্রহ করেন। পরিচ্ছন্নতার কাজ না করে তিনি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্যাথলজিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে সুশান্ত কুমার সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামা, নিজেদের লোক হয়ে সবকিছু ধরলে হয়। ভিডিও করার কি দরকার ছিল মামা।’
এ বিষয়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পারভেজ হোসেন জানান, ‘ল্যাব সহকারীরা ভেতরের কাজে ব্যস্ত থাকায় ওই সময়ে সুশান্ত রক্ত নিচ্ছিলেন। আমি জানলে তাকে এটা করতে দিতাম না।’
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত বলেন, ‘প্যাথলজিতে ৪ জন ল্যাব সহকারী কর্মরত আছেন। সুইপার দিয়ে রোগীদের রক্ত নেওয়া সম্পূর্ণ অনৈতিক ও বেআইনি। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন