সুন্দরবনে অনুপ্রবেশ, অবৈধ মৎস্য আহরণ ও জলদস্যুদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় বনবিভাগ বিশেষ চিরুনি অভিযান শুরু করেছে। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে সুন্দরবনের বিভিন্ন অভয়ারণ্য, খাল ও নদীতে টহল ও তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান।
বনবিভাগের সূত্র জানায়, সম্প্রতি কিছু অসাধু চক্র অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করছে। কেউ কেউ বিষ প্রয়োগ ও জাল ফেলে মাছ ধরছে। এ ছাড়া বন্যপ্রাণী শিকারের অভিযোগও পাওয়া গেছে। এসব অনিয়ম ও অপরাধ দমনের লক্ষ্যেই এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযান চলাকালে বনরক্ষীরা সন্দেহভাজন নৌকা ও জাল বাজেয়াপ্ত করেন। অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের সতর্ক করার পাশাপাশি কয়েকজন জেলের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে।
স্থানীয় মৎস্য জেলে একরামুল (ছদ্মনাম) বলেন, ‘সুন্দরবনের ক্ষতির বড় কারণ কিছু দালালচক্র ও কোম্পানি। তাদের ইন্ধনে অনেক জেলে অপকর্মে জড়ায়। সুন্দরবন রক্ষায় আগে এসব দালাল ও কোম্পানিকে সরাতে হবে।’
নীলডুমুর এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কিছু অসাধু কোম্পানি ও জেলের কারণে নিরীহ জেলেদের ভুগতে হয়। আমাদের দাবি, প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
পশ্চিম বনবিভাগের সরকারি বন সংরক্ষক ফজলুর রহমান জানান, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি জেলেদেরও সচেতন করা হচ্ছে যেন তারা বৈধ পাস-পারমিট ছাড়া সুন্দরবনে প্রবেশ না করে এবং ক্ষতিকর পদ্ধতিতে মাছ আহরণ না করে।
স্থানীয় সচেতন মহল বনবিভাগের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নিয়মিত এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হলে সুন্দরবনের সম্পদ ও বন্যপ্রাণী অনেকাংশেই সুরক্ষিত থাকবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন