পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নাসির উদ্দিন আহমেদ (৬৮) নামে এক স্কুলশিক্ষক নিহতের ঘটনায় তার একমাত্র ছেলে রিয়াজ উদ্দিনকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষক নিহত হওয়ার দুই মাস পরে গতকাল শনিবার নিহতের বোন মাসুমা পারভীন বাদী হয়ে ভাতিজা রিয়াজ উদ্দিন ও অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা করেন। এরপর বিকেলেই রিয়াজকে উপজেলার দাউদখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গত ১২ জুলাই সকালে মঠবাড়িয়া কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশনের সাবেক শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমেদ পৌর শহরের সমবায় মার্কেটস্থ নিজ বাসা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় একমাত্র ছেলে রিয়াজ ওই দিন বিকেলে মঠবাড়িয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং এলাকায় মাইকিং করান। ১৩ জুলাই বিকেলে ওই শিক্ষকের মৃতদেহ স্থানীয় শহিদ মোস্তফা খেলার মাঠের সভামঞ্চে পড়ে থাকতে দেখেন ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মা মারা যাওয়ার পর থেকে ছেলে রিয়াজ উদ্দিন বেপরোয়া জীবনযাপন শুরু করে এবং মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এতে বাবা নাসির উদ্দিন নিষেধ করলে ছেলে রিয়াজ তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তী সময়ে বাবাকে সম্পত্তি বিক্রি করে তাকে টাকা দিতে চাপ দেয়। কিন্তু জমি বিক্রি করে টাকা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাবার সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মঠবাড়িয়া থানার (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আঘাতের কারণে ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে রিপোর্ট আসে। এ ঘটনায় শিক্ষক নাসির উদ্দিনের বোন মাসুমা পারভীন বাদী হয়ে রিয়াজ উদ্দিনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে রিয়াজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আশা করছি, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন