- গরিল্যা বিলে প্রতি বৃহস্পতিবার বসে সবচেয়ে বড় গাঁজার আসর
- প্রতিদিন ২-৩ হাজার মাদকসেবীর সমাগম, পারাপারে থাকে ৩টি নৌকা
- স্থানীয়দের অভিযোগ-চুরি, রেললাইনের যন্ত্রাংশ বিক্রি ও অপরাধ বাড়ছে
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের মোহাইল গ্রামে অবস্থিত ভাসমান দ্বীপ ‘জুগীর ঘোপা’ আধ্যাত্মিক কল্পকাহিনির আড়ালে পরিণত হয়েছে মাদকসেবী ও জুয়াড়িদের নিরাপদ আস্তানায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে প্রতি বৃহস্পতিবার হাজারো মানুষ ভিড় জমায়, চলে গাঁজা সেবন, জুয়া ও অপরাধীদের আসর।
প্রায় ১০ শতাংশ জমির ওপর গরিল্যা বিলের মাঝে ভেসে থাকা এ দ্বীপে যেতে হয় নৌকায়। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বৃহস্পতিবার সারা দিন তিনটি নৌকায় অবিরত যাত্রী পারাপার হয়। ওই দিন মান্নতের খিচুড়ি বিতরণের আড়ালে ২-৩ হাজার মাদকসেবী দেশজুড়ে এবং আশপাশের এলাকা থেকে এখানে ভিড় করে। শত শত মোটরসাইকেল ও যানবাহন রেখে তারা জুগীর ঘোপায় আসে। আগতদের অধিকাংশই তরুণ-যুবক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই মাদক আসরকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকায় চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি রেললাইনের সিøপারের ক্লিপ খুলে বিক্রি করছে মাদকসেবীরা।
একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মোহাইল গ্রামের ছাত্ররা একসময় প্রতিরোধ গড়েছিল। কিন্তু সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী, তাদের চাপে ছাত্রদের পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এখানে কোটি কোটি টাকার মাদক কারবার হয়।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নির্মিত একটি পাকা ঘরের ভেতর ও বাইরে একাধিক গ্রুপে গান, জুয়া ও মাদক সেবনের আসর বসেছে। সন্দেহজনক পরিবেশে প্রতিবেদককে কঠোর নজরদারিতেও রাখা হয়।
স্থানীয় নৌকা চালক জানান, এই ঘোপা ‘প্রফেসরের বাপ’ নামে পরিচিত এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে, যদিও তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গোপালপুর থানার ওসি গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন জানান, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।’ জুগীর ঘোপাকে ঘিরে লোকমুখে বহু অলৌকিক কাহিনি প্রচলিত আছে। তবে বাস্তবে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।