বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় দেড় মাস ধরে ডুবে রয়েছে রাঙামাটির পর্যটনের আইকন পর্যটন ঝুলন্ত সেতু। নিরাপত্তার কারণে সেতু ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে, হতাশ হয়ে ফিরছেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। এতে দৈনিক ২০-৩০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গত ৩০ জুলাই থেকে সেতুটি পানিতে তলিয়ে গেছে। নিরাপত্তার কারণে কর্তৃপক্ষ এর ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এতে দৈনিক ২৫-৩০ হাজার টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক মিলটন ও রবিউল জানান, ‘ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসলাম, কিন্তু পানির নিচে ডুবে থাকায় ঘুরতে পারলাম না, খুব হতাশ লাগছে।’ স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিবছরই এ সেতু পানিতে ডুবে যায়। তাই ভবিষ্যতে আরও উঁচুতে সেতু নির্মাণের দাবি তুলেছেন তারা। কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ধাপে ধাপে খুলে দিয়ে পানির উচ্চতা কমানোর চেষ্টা চলছে।
রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘একই স্থানে আধুনিক ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটি হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।’
পর্যটন করপোরেশনের হিসাবে বছরে ৪-৫ লাখ পর্যটক রাঙামাটি ভ্রমণ করেন। জনপ্রতি ২০ টাকা প্রবেশ ফি থেকে বছরে প্রায় ৮০-৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আসে। কিন্তু সেতু ডুবে থাকায় এ আয়েও বড় ধস নেমেছে।