ডিসেম্বরে ভারতের তামিলনাড়–তে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২১ জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই আসরে অংশ নিতে ঢাকায় এক মাস ধরে অনুশীলন করছে বাংলাদেশ দল। বিদেশে অনুশীলন করতে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়া যাবে লাল-সবুজের যুবারা। তবে বিশ্বকাপ সামনে রেখে পাঁচ কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন হকির ডাচ কোচ সেগফ্রাইড আইকম্যান। মঙ্গলবার হকি ফেডারেশনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৬৬ বছর বয়সি এই কোচ বলেন, ‘আমরা এখন কঠোর পরিশ্রম করছি রক্ষণভাগ নিয়ে। পাঁচটি মূল রক্ষণকৌশল নিয়ে কাজ করছিÑ টাইমিং, ফুটওয়ার্ক, প্রেসিং, ভিন্ন গতিতে খেলা এবং আলাদা আলাদা দিক দিয়ে ওপরের দিকে ওঠা।’
কোচ আইকম্যান ঢাকায় আসেন এ মাসের শুরুর দিকে। পল্টনের মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ২৬ জনের স্কোয়াড নিয়ে করছেন নিবিড় অনুশীলন। বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে বেশ ইতিবাচক ডাচ কোচ আইকম্যান। সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপ নিয়ে তার মূল্যায়ন, ‘বাংলাদেশ প্রত্যাশার চেয়ে ভালো খেলেছে। অন্য দল যেখানে এক বছরের বেশি সময় অনুশীলন করেছে, সেখানে ১০ দিন প্রস্তুতির পুঁজি নিয়ে মন্দ করেনি বাংলাদেশ।’
জুনিয়র বিশ্বকাপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডে বাংলাদেশ পড়েছে ‘এফ’ গ্রুপে। যেখানে আছে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও দক্ষিণ কোরিয়া। গ্রুপে শক্তিশালী দল থাকায় পরের রাউন্ড নিশ্চিত করা কঠিন হবে তা জানেন আইকম্যান। তবে বিশ্বকাপের আগে ভালো প্রস্তুতিতে মিলতে পারে সমাধান। কোচ বলেন, ‘আমরা সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায়ও খেলব। তাদের সঙ্গে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারব, যা আমাদের কাজে আসবে, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কারণ অস্ট্রেলিয়া আমাদের চূর্ণ করতে চাইবে, পাওয়ার প্লে খেলবে। আগে এ ধরনের ম্যাচ না খেললে হঠাৎ করে সেটা শক হতে পারে আমাদের জন্য।’
চার মাসের পরিকল্পনা নিয়ে হকি স্টেডিয়ামে ক্যাম্প করে বাংলাদেশ। প্রথম ভাগে আগস্ট মাসে স্থানীয় কোচ মশিউর রহমান বিপ্লব ও আশিকুজ্জামানকে নিয়ে হয় ফিজিক্যাল ফিটনেসের ট্রেনিং। দ্বিতীয় ভাগে তিন মাস দল তত্ত্বাবধানে থাকবে প্রধান কোচের অধীনে। দলের ফিটনেস ক্যাম্প থেকে ৭০-৮০ শতাংশ প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান, ‘৪০ জন থেকে নামিয়ে ২৬ খেলোয়াড় নিয়ে এখন চলছে ক্যাম্প। মালয়েশিয়া থেকে ফিরে অক্টোবরের শেষ দিকে দল যাবে সুইজারল্যান্ডে। আর বিশ্বকাপে মানিয়ে নিতে এক সপ্তাহ আগে ভারতে যাবে দল।’