*** বাজারদরও ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় মাচায় ঝুলছে হলুদ-সবুজ-ডোরাকাটা তরমুজ। মৌসুমের বাইরে উৎপাদিত হওয়ায় বাজারদরও ভালো, আর এতে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। উপজেলার চাকলমা গ্রামের তরুণ কৃষক জাব্বির হোসেন এভাবে তরমুজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন।
সরেজমিনে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক জাব্বির হোসেনের বাগানে দেখা যায়, শত শত তরমুজ নেটের ব্যাগে ঝুলছে লাউ-কুমড়ার মতো। কাছ থেকে খেয়াল করলে বোঝা যায় এগুলো তরমুজ। কোনোটির গায়ে ডোরাকাটা, কোনোটির গা কালচে সবুজ, আবার কোনোটির রং হলুদ। ভেতরের রঙেও বৈচিত্র্য কোথাও টকটকে লাল, কোথাও মাল্টার মতো হলুদাভ কমলা।
জাব্বির স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ‘তৃপ্তি’, ‘সুইট ব্ল্যাক’ ও ‘গোল্ডেন ক্রাউন’ জাতের তরমুজ চাষ করছেন। পরীক্ষামূলকভাবে ২০ শতক জমিতে চাষ শুরু করলেও বর্তমানে তার খেতে প্রায় দেড় হাজার তরমুজ ঝুলছে। এর মধ্যে দুই থেকে তিন কেজি ওজনের তরমুজও আছে। তিনি জানান, এ চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৭ হাজার টাকা। তবে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ৫৫-৬৫ টাকা আর খুচরায় ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে ভালো লাভের আশা করছেন তিনি। তরমুজে জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে, আর পোকা দমনে প্রয়োগ হয়েছে ফেরোমন ফাঁদ ও ইয়োলো স্টিকি ট্র্যাপ।
এলাকার কৃষক মিলন সরকার বলেন, ‘অসময়ে তরমুজ চাষ করে জাব্বির এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন। বাগানে প্রচুর ফল এসেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আরও ফল আসবে।’
নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. গাজীউল হক জানান, অসময়ে তরমুজ এখানে সম্ভাবনাময় ফসল হয়ে উঠছে। অনেক কৃষক ইতোমধ্যে চাষ শুরু করেছেন। জাব্বির হোসেন তার মধ্যে অন্যতম সফল উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, ‘পরিশ্রম করলে তার ফল আসবেই। জাব্বির হোসেন সামান্য জমিতে অসময়ে তরমুজের বাম্পার ফলন ঘটিয়ে উপজেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’