- রাজশাহীর বাঘায় এক সপ্তাহে ১৫ পরিবার বসতভিটা হারালেন
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া চরে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫টি পরিবার বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। এ ঘটনায় ভিটেমাটি হারানো পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মা নদীঘেঁষা চৌমাদিয়া চরে অর্ধশতাধিক পরিবার বসবাস করছিলেন। এক সপ্তাহ ধরে টানা ভাঙনে এরই মধ্যে সুরুজামাল, সাইদুর রহমান, ছাপরান আলী, রুবেল হোসেন, জুয়েল আলী, এরশাদ আলী, আয়না বিবি, হাসেনা বেগম, সুলতান আলী, আবেদা বেগম, মাসুদ আলীসহ অন্তত ১৫ জনের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
গত সোমবার সকালে আয়নাল মোল্লা নামের এক কৃষক খবর পান তার টিনশেড বাড়ি পদ্মায় তলিয়ে যাচ্ছে। ছুটে এসে দেখেন, ঘরের একাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। এর আগের রাতে একইভাবে আদার ব্যবসায়ী আনজিরা বেগম ও পারু বেগমের বাড়িও ভেঙে পড়ে নদীতে।
নিঃস্ব আয়নাল মোল্লা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ভাই, আমি শেষ হয়ে গেছি। পদ্মা আমার তিন বিঘা বাড়ির জমি আর সাত বিঘা আবাদি জমি সব গিলে নিয়েছে। যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই, থাকার মতো ঠাঁই নেই।’
স্থানীয় সাবেক মেম্বর আবদুর রহমান জানান, এই ওয়ার্ডে ভাঙনের কারণে এরই মধ্যে শতাধিক পরিবার অন্যত্র চলে গেছে। কিন্তু এক সপ্তাহে ১৫টি বাড়ি নদীতে বিলীন হওয়া কল্পনাতীত।
চরের মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। আতারপাড়া ও দিয়ারকাদিরপুর চরও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, পদ্মার ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।