ঢাকা বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ০২:২৬ এএম
  • তলিয়ে গেছে আমন খেতসহ শাক-সবজি ও মাষকালাই
  • কৃষকরা দিনরাত দুশ্চিন্তায় আছেন, ঘুমাতে পারছেন না
  • ঢলের কারণে আগামী দুই দিন পানি আরও বাড়তে পারে

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা ও দুধকুমারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল। এতে তলিয়ে গেছে আমন খেতসহ বিভিন্ন ফসল। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

স্থানীয়রা জানায়, পানি আরও বৃদ্ধি পেলে পানিতে তলিয়ে থাকা ধানসহ অন্য ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হবে। আর দ্রুত পানি নেমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে লাগবে সরকারের সহযোগিতা।             

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে- দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে কিছুটা হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আগামী দুই দিন পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে তিস্তার অববাহিকার মাঝের চর এলাকার তাজউদ্দিন জানান, তিস্তার পানি কখন বাড়ে কখন কমে কিছুই বুঝি না। পানি বাড়ার ফলে তার প্রায় দুই একর জমির আমন খেত তলিয়ে গেছে।

উলিপুর উপজেলার দলদলীয়া ইউনিয়নের গোড়াই পিয়ার চরের কৃষক বাহার আলী জানান, তার দেড় একর আমন খেত গত ৩ দিন থেকে পানির নিচে। তিনি ফসলের দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারেন না।

একই ধরনের সমস্যার কথা জানান ওই এলাকার কৃষক আফাজ উদ্দিন, মতিয়ার ম-লসহ কয়েকজন কৃষক।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, আগামী দুই দিন তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে কুড়িগ্রাম জেলার নদ-নদীগুলোর নিম্নাঞ্চলের আরও বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। 

কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের ১২০ হেক্টর জমির রোপা আমন খেত, ৪৫ হেক্টর জমির শাক-সবজি ও ৫ হেক্টর জমির মাষকালাই তলিয়ে গেছে। দ্রুততম সময়ে পানি নেমে না গেলে এসব ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে।