আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার মৃৎশিল্পীরা। এঁটেল মাটি দিয়ে তৈরি পুতুল ও নানা তৈজসপত্র পুড়িয়ে শুকানোর পর রং-তুলির ছোঁয়ায় দৃষ্টিনন্দন রূপ পাচ্ছে। এগুলো পূজা ও মেলাতে বিক্রির জন্য সাজাচ্ছেন কুমার সম্প্রদায়ের শিল্পীরা।
দুপচাঁচিয়ার পালপাড়া এলাকায় দেখা যায়, পলাশ পাল, সুদেব পাল ও অমল পালসহ অনেকেই দিনরাত মাটির খেলনা ও তৈজসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত। তারা জানান, দুর্গোৎসব সামনে রেখে প্রায় ৫০ প্রকারের মাটির পণ্য তৈরি করছেন। প্রতিবছর পূজার আগে স্থানীয় ও আশপাশের এলাকার খুচরা বিক্রেতারা পাইকারি দামে এসব খেলনা কিনে নিয়ে যান।
স্থানীয় শিক্ষক শখেন চন্দ্র পাল ও পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা সভাপতি অসীম কুমার দাস বলেন, গ্রামীণ সংস্কৃতির অন্যতম অংশ মৃৎশিল্প। শুধু পূজাই নয়, বৈশাখী মেলা ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যুগ যুগ ধরে মাটির তৈরি খেলনা ও তৈজসপত্রের কদর রয়েছে।
কাহালু কুমারপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ কুমার বাগচী জানান, পূজার মেলাগুলোয় কসমেটিকস, মিষ্টি, প্লাস্টিক ও কাঠের খেলনার দোকান থাকলেও সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে মাটির বাহারি খেলনা ও তৈজসপত্রের দোকান। দর্শনার্থীরাও শিশুদের জন্য আগ্রহভরে এসব কিনে দেন।
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এবার ৪৫টি পূজাম-পে পূজা হবে। তবে বড় মেলা বসবে শুধু পৌর এলাকার সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। কিছু গ্রামে ছোটখাটো মেলা বসার খবর পাওয়া গেছে।