পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীর বসতঘরে গভীর রাতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনায় দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শাহজালাল (২৭) লেবুখালীর পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে বসবাস করলেও সম্প্রতি তিনি রাস্তার পাশে একটি নতুন ঘর নির্মাণ করেন। শাহজালালের অভিযোগ, গত রোববার রাত দেড়টার দিকে তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে সৌদিপ্রবাসী বারেকের নেতৃত্বে একদল লোক তার নতুন ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ঘরের বেড়া, চাল, আসবাবপত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এতে আনুমানিক ৪০-৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন তিনি।
শাহজালাল বলেন, ‘আমি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ। অনেক কষ্ট করে নতুন ঘর তুলেছি। কিন্তু কিছুদিন ধরে সেখানে থাকি না। এ সুযোগে বারেক দলবল নিয়ে রাতের আঁধারে আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে।’
ভুক্তভোগীর মা রাশিদা বেগম জানান, তাদের পারিবারিক জমি নিয়ে বারেকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ‘আমার শ্বশুরের কাছ থেকে বারেক ১০ কড়া জমি দলিল নিয়েছে শুনেছিলাম। আমরা রাস্তার পাশের ওই জমিতে ছেলের বসতবাড়ি তোলার জন্য জায়গা দিই। বারেককে অন্য স্থানে ১০ কড়া জমি ভোগের জন্য দিই। পরে জানতে পারি, আসলে কোনো দলিলই দেওয়া হয়নি। বিদেশ থেকে ফিরলে দলিল দেখাতে বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে বারেক এ হামলা চালায়।’
তিনি আরও জানান, বারেক মাঝকোলা এলাকায় ১০ কড়া জমি ভোগ করছেন দুই বছর ধরে। এখন তিনি ১৫ কড়া জমি দাবি করছেন। বারেকের শ্যালক শাহজাহান ভাঙচুরের ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বসে দ্রুত মীমাংসা করা হবে।’ অভিযুক্ত বারেকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দুমকি থানার ওসি বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’