ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানা এলাকায় পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মিজান গাজী নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চাঁদাবাজির ঘটনায় মো. মামুন সাজী নামের এক ব্যক্তি মিজান গাজীকে আসামি করে দুলারহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
গতকাল রোববার গ্রেপ্তার মিজান গাজীকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দুলারহাট থানার ঘোষের লঞ্চঘাট থেকে মিজান গাজীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মিজান গাজী দুলারহাট থানার চরযমুনা ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কাশেম গাজীর ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মামুন দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সে বিভিন্ন বাজারে গরু ক্রয়-বিক্রয় করতো। মামুনের কাছ থেকে স্থানীয় মিজান গাজী ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সে যদি মিজান গাজীকে ১ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়, তাহলে তার ব্যবসা বন্ধ কওে দেবে এবং তাকে গরু চুরির মামলা ও ডিবি পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। গত ২৫ আগস্ট মামুনের কাছ থেকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩৫ হাজার টাকা নেয় মিজান গাজী। ৩৫ হাজার টাকা নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, বাকি ৬৫ হাজার টাকার জন্য আবারও ডিবি পুলিশকে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। মিজান গাজীর এহেন কর্মকা-ে দিশাহারা হয়ে শনিবার মামুন দুলারহাট থানায় এসে তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করলে পুলিশ ওই দিন সন্ধ্যায় ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী মামুন বলেন, আমি গরু ক্রয়-বিক্রয় করি। মিজান গাজী আমার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি মিজান গাজীকে ২৫ আগস্ট ৩৫ হাজার টাকা দিই। বাকি ৬৫ হাজার টাকা না দিলে ডিবি পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেবে এবং গরু চুরির মামলা দিয়ে ফাঁসাবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমি দুলারহাট থানায় তাকে আসামি করে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করলে পুলিশ থাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, শুধু আমি না। মিজান গাজী আমার এলাকার ইকবাল সাজীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং জামাল মাস্তান নামের একজনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে।
দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফ ইফতেখার জানান, আসামি মিজান গাজীর বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা রুজু করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে রোববার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে এ-সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।