বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৪:৩৪ এএম

মা-ইলিশ রক্ষায় ড্রোন দিয়ে নজরদারি

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৪:৩৪ এএম

মা-ইলিশ রক্ষায় ড্রোন  দিয়ে নজরদারি

পটুয়াখালীর দশমিনার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌঙ্গা নদী তীরে এক অচেনা নীরবতা। নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসে ড্রোনের ঘূর্ণন ধ্বনি। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য কর্মকর্তা মনিটরে নজর রাখছেনÑ  ড্রান উড়ছে আকাশে, নিচে নদীতে নৌকা ও ট্রলারের চলাচল ধরা পড়ছে। মা ইলিশ রক্ষার এই অভিযান এখন প্রযুক্তিনির্ভর। কিন্তু বাস্তবতা ততটা সহজ নয়। রাত নামলেই শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। কিছু জেলে নিষিদ্ধ জাল টেনে মাছ ধরার চেষ্টা করেন। কোথাও জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়, কোথাও আটক হয় ট্রলার। এভাবেই নদীর এই অভিযান এখন ‘অদৃশ্য যুদ্ধের ময়দান’।

জানা যায়, ড্রোনের পাশাপাশি চলছে স্থল অভিযানও। বাজারে কোথাও ইলিশ বিক্রি হচ্ছে কি না, কেউ জাল মজুত করছে কি না? এসব নজরে রাখছে প্রশাসন। কারণ ইলিশ শিকার শুধু বন্ধ নয়, পরিবহন ও মজুতও বেআইনি। তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌঙ্গা নদীর তীরের মাছঘাটগুলোতে।

উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পরভেজ বলেন, ড্রোন ব্যবহারে অল্প সময়েই অসাধু জেলেদের শনাক্ত করা যাচ্ছে। নদীর পারে বা নৌকায় নামলেই তাদের গতিবিধি ধরা পড়ে। এতে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘সীমিত জনবল নিয়েও আমরা এখন কার্যকরভাবে অভিযান চালাতে পারছি। ড্রোন প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে মা ইলিশ রক্ষায় সফলতা আরও বাড়বে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী এখনো গোপনে ইলিশ পাচার করছেন। রাতে ট্রলারে চড়ে তারা নদীপথে মাছ নিয়ে যান দূরে দূরে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে ব্যবহার হচ্ছে ছোট শিশুদেরও। তারা দূর থেকে সংকেত দেয় জেলেদের।

কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের দিয়েই মাছ ধরা হয়, কারণ তারা আইনগত শাস্তির আওতায় পড়ে না।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দশমিনা উপজেলায় প্রায় সাড়ে দশ হাজার ইলিশ জেলে। নিষেধাজ্ঞার সময় প্রতিজন জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পরাভেজ জানান, প্রশাসনের সহায়তায় ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি চলছে। কোনো জেলে নদীতে অবৈধভাবে নামলে তাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফরদাউস হোসেন বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহারে অভিযান আরও কার্যকর হয়েছে। অসাধু জেলেদের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান বলেন, ‘মা-ইলিশ দেশের মূল্যবান সম্পদ। সংরক্ষণের জন্য আমরা প্রযুক্তি ব্যবহারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। রাতের বেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নদীতে টহল দেবে, আর দিনে ড্রোনের মাধ্যমে অবৈধ জেলেদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!