বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৪:৪৭ এএম

গড়াই নদীতে বালু লুটের মহোৎসব

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৪:৪৭ এএম

গড়াই নদীতে বালু লুটের মহোৎসব

  • লুট হওয়া বালুর বাজারমূল্য আনুমানিক ৮০-৯০ লাখ টাকা
  • মানববন্ধনের পর ইজারাদার কার্যক্রম বন্ধ করে দিলে সুযোগ নেয় প্রভাবশালীরা
  • ঘটনায় থানায় জিডি, প্রশাসন জানিয়েছে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

কুষ্টিয়ার গড়াই নদী থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ইজারাকৃত প্রায় দেড় লাখ ঘন মিটার বালু লুটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা বালু বিক্রিতে ব্যক্তিগত সুবিধা না পেয়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে বাধা দিয়ে পরে নিজেরাই ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করছেন, এমন ঘটনা ঘটেছে কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা মৌজায়।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২৩ জুন গড়াই নদী ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় রায়ডাঙ্গা ও কয়া মৌজায় ৬ লাখ ২০ হাজার ঘন মিটার বালু বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকায় ইজারা পায় মেসার্স প্রিয়াংকা ব্রিকস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পরে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা জমা দেওয়ার শর্তে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান বালু বিক্রি শুরু করে।

কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হলে ১২ সেপ্টেম্বর বালু বিক্রি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করে এবং কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এ সময় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের এক্সকাভেটর, পেলোডার ও ড্রাম ট্রাক সরিয়ে নেয়। এরপরই ওই প্রভাবশালী গোষ্ঠী রায়ডাঙ্গা মৌজায় নিজেদের ড্রেজার বসিয়ে বালু লুট শুরু করে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত রায়াডাঙ্গা ইদগাহ ও রায়ভাগা গোরস্থানের আশপাশ থেকে প্রায় দেড় লাখ ঘন মিটার বালু উত্তোলন করে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করেছে প্রভাবশালীরা। এর বাজারমূল্য আনুমানিক ৮০-৯০ লাখ টাকা।

মেসার্স প্রিয়াংকা ব্রিকসের ব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘প্রভাবশালীরা সুবিধা না পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। এখন তারাই ইজারা বালু লুট করে বিক্রি করছে।’

কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ঘটনায় লিখিত জিডি হয়েছে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম জানান, ‘বালু লুটের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!