টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় দেশীয় পাগলা কুকুরের আতঙ্কে সাধারণ মানুষ চরম উদ্বেগে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের বনমালি, বিলডগা, বাইশকাইল ও আলমনগর ইউনিয়নের নবগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের কামড়ে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিণ বিলডগা এলাকায় প্রথমে একটি শিশুকে কামড়ানোর মাধ্যমে আতঙ্কের সূচনা হয়। এরপর পাগলা কুকুরটি বনমালি, নবগ্রাম বাজার, বাইশকাইল ও গইজারপাড়া এলাকায় তা-ব চালিয়ে অন্তত ২০ জনকে আহত করে।
আহতদের মধ্যে পরিচয় পাওয়া গেছে, নবগ্রামের চান মিয়া (৪৫), সিয়াম (৭), জুব্বার (৬০), উত্তর বিলডগার কম্বলের মেয়ে (২৫), বনমালির আবুবকরের ছেলে (৫), সাইফুলের মেয়ে (৪), বিলডগার জহুরুদ্দিনের ছেলে (৭), বনমালির লিটনের ছেলে (৬) প্রমুখ।
স্থানীয় বাসিন্দা বনমালি গ্রামের সাইফুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের এলাকায় প্রায় ১৫-২০টি ছাগল ও গরুও পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে।’ কলেজছাত্র তারেক বলেন, ‘বনমালি ও বিলডগা এলাকায় প্রায় ১৫ জন মানুষকে কামড়েছে কুকুরটি।’
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে কুকুরের আক্রমণের শিকার হয়।’ শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা জানায়, ‘আমি স্কুলে যেতে কুকুর দেখে ভয় পেয়েছি।’
বনমালির গৃহবধূ খাদিজা (৪০) বলেন, ‘আজকে কুকুরে আমার বোরকা ছিঁড়ে ফেলেছে।’ স্থানীয় আব্দুল মজিদ বলেন, ‘এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা এত বেড়েছে যে, এখন নামাজ পড়তে মসজিদের যেতে ভয় লাগে।’
বিলডগার বাসিন্দা মতিয়ার খান, রফিকুল ইসলাম ও বাবলু খান জানান, ‘দেশীয় কুকুরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রাস্তায় ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে।’
আহতদের গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় বাজারে মানুষের চলাচল কমে গেছে এবং আশপাশের গ্রামগুলোতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন