বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার বলিবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ১১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত ২০ লাখ টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা। শনিবার রাত ২টার দিকে বলিপাড়া বাজারে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধ্যরাতে বলিপাড়ার অনিল দাশের খাবারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। থানচি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে বলি বাজার প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতায় একে একে ১১টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের যৌথ প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের দাবি, এ অগ্নিকা-ে প্রায় ২০ লাখ টাকার পণ্য ও সম্পদ পুড়ে গেছে। আগুনে অধিকাংশ দোকানের নগদ অর্থ, মালামাল ও আসবাবপত্র সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মংলুং মারমা বলেন, চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি বাজারের আগুনের লেলিহান শিখা। মোটরসাইকেল নিয়ে বাজারে গিয়ে দেখি দোকানগুলো জ্বলছে। স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে।
৭০ বছর বয়সি ব্যবসায়ী হ্লায়ইংচিং মারমা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ২০২৩ সালে একবার আগুনে ৫০টি দোকান পুড়েছিল। সেই সময়ও আমার দোকান পুড়েছিল। এবার আবারও সব পুড়ে গেল। জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে ফেললাম।
থানচি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা পিয়ার মোহাম্মদ লিডার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি একটি চায়ের দোকানের চুলার ওপর রাখা লাকড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ভোরে আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে।
উল্লেখ্য, দেড় বছর আগে ২০২৩ সালের মে মাসেও বলিবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে অন্তত ৫০টি দোকান ও কয়েকটি বসতঘর পুড়ে যায়। দেড় বছরের ব্যবধানে আবারও আগুন লাগায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে।

