পটুয়াখালীর দশমিনায় কবরস্থানের জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাছের সরদারবাড়ি এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মইফুল বেগম (৬০), সাইফুল ইসলাম (৩০), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রিমা বেগম (২৭)। অপর পক্ষের রতন সরদার (৯৫), তার মেয়ে অলি বেগ (৩৬), তহমিনা বেগম (৩৫) ও মতিউল ইসলাম (৪০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বাছের সরদারবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানের জায়গা নিয়ে চাচাতো দুই ভাই আব্দুল হাই ও সাইফুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি জায়গার মালিকানা ও ব্যবহার নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। গতকাল রোববার সকালে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হলে একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষই লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ সাতজন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। ঘটনার পরপরই এক পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে হাসপাতালে হাজির হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
স্থানীয়দের মতে, কবরস্থানটি এলাকার একটি পুরোনো স্থান হলেও জমির মালিকানা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করলে এ ধরনের ঘটনা পুনরায় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
আহত মো. রত্তন সরদার বলেন, ‘আমার ভাতিজা আব্দুল হাই ও সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কবরস্থানের জায়গা নিয়ে বিরোধ করছে। কয়েক দিন আগে পুলিশ এসে মীমাংসা করে দিয়েছিল। কিন্তু আজ (গতকাল) সকালে তারা আবার আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমি ও আমার মেয়েসহ কয়েকজন আহত হয়েছি। আমরা প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।’
অপর পক্ষের আব্দুল হাই বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘর্ষ চাই না। কবরস্থানের পাশে ঘর নির্মাণ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির জেরে তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের পক্ষের অন্তঃসত্ত্বা নারীও আহত হয়েছেন। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চাই।’
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে পুলিশ গিয়ে জমির বিরোধ মীমাংসা করে দিয়েছিল। কিন্তু আবার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’

