ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

মাদ্রাসায় ঘুমন্ত ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা 

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ০২:১০ এএম

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ঘুমন্ত এক মাদ্রাসাছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। এর আগে, রোববার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. নাজিম উদ্দিন (১৩) উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যার ছেলে। অন্যদিকে, আটক আবু ছায়েদ (১৬) ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাটরা আল মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদ্রাসার আবাসিক বিভাগে থেকে নাজিম ২২ পারা ও ছায়েদ ২৩ পারা পবিত্র কোরআন হেফজ সম্পন্ন করে। গত ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে নাজিম ও আবু ছায়েদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মাদ্রাসার এক শিক্ষক বিষয়টি জানতে পেরে তাদের মধ্যে মিটমাট করে দেয়। কিন্ত এ ঘটনার জের ধরে নাজিমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩শ টাকা দিয়ে একটি ধারালো ছুরি কিনে নিয়ে আসে ছায়েদ। প্রতিদিনের ন্যায় রোববার রাতে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে যায় ১৪ জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক। রাত আড়াইটার দিকে অন্য ছাত্রদের অগোচরে ছায়েদ ঘুম থেকে উঠে ঘুমের মধ্যে নাজিমকে গলা কেটে হত্যা করে। ওই সময় নাজিমের গলার গোঙরানির আওয়াজ শুনে একই কক্ষে থাকা ছাত্র-শিক্ষক ঘুম থেকে জেগে উঠে এ ঘটনা দেখতে পায়।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে ভোররাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ছুরি জব্দ করা হয়। টুপি পরা নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে বিরোধের সূত্র ধরে এ হত্যাকা- ঘটে। লাশের সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।