ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

সরকারিভাবে লিজ নেওয়া বিলের মাছ হরিলুট

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ০২:৩৩ এএম

রংপুরের মিঠাপুকুরে রতিয়া বিলের কয়েক লাখ টাকার মাছ হরিলুট করার অভিযোগ উঠেছে। বিলের পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার ১১নং পাঁচগাছি ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামের কয়েকজন দুষ্কৃতকারী এই মাছগুলো হরিলুট করেন বলে জানা গেছে। রতিয়া পুকুর বিল জলমহাল উপজেলার বড়হযরতপুর ইউনিয়নের বানিয়ারজান মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ৫ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় ৩ বছরের জন্য লিজ নেন। কিন্তু বিল সংলগ্ন পীরগঞ্জ উপজেলার আমোদপুর গ্রামের কিছু দুষ্কৃতকারী মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে ফেলেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গত বছর মিঠাপুকুর উপজেলা প্রশাসন থেকে রতিয়া বিলটি লিজ নেয় বানিয়ারজান মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ। ঘটনার দিন গত (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টার সময় বানিয়ারজান মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যরা বিলে মাছের খাবার দেওয়ার সময় অতর্কিত হামলার শিকার হন। এ হামলায় নেতৃত্ব দেন, পীরগঞ্জ উপজেলার আমোদপুর গ্রামের আনারুল, শিমুল, খালেক মিয়া, বজলু মিয়া, বাদুল মিয়া, হাশেম মিয়াসহ প্রায় ১০-১৫ জন। একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা দলবল নিয়ে বিলের ছেড়ে দেওয়া প্রায় ১৬ লাখ টাকার মাছ হরিলুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি পুলিশকে জানালে তাৎক্ষণিকভাবে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা পুলিশের উপরে চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে পুলিশ মৎস্যজীবীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বানিয়ারজান মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি দুলা মিয়া বলেন, কয়েক দফায় আমাদের মারধর করে মাছগুলো হরিলুট করে নিয়ে গেছে। সাধারণ সম্পাদক-ভোলানাথ বলেন, বিলটি মিঠাপুকুর অংশে, আর অভিযুক্তদের বাড়ি বিলের শেষাংশের পরের গ্রামে। আমরা বিলের ওইপারে যেতে পারছি না।

মৎস্যজীবী খালেক মিয়া বলেন, আমরা সরকারি নিয়ম মেনে বিলটি লিজ নিয়েছি। বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে বিলে মাছ ছাড়ার পর সেই মাছ আর তুলতে পারছি না। আমাদের বিলের মাছ হরিলুট অব্যাহত রেখে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কেউ কোনো কথা বলেনি। তবে অভিযুক্ত আনারুল মিয়া বলেন, যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সেটা মিথ্যা। আমরা সরকারি বিলের মাছ হরিলুট কেন করব? তবে বিলে গিয়ে বরশি দিয়ে মাছ শিকার করতে দেখা যায়।

মিঠাপুকুর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অপরাধীরা আইন মানছে না। বারংবার পুলিশ অপরাধীদের সতর্ক করার চেষ্টা করছে।