ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

২০ গ্রামের মানুষের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৫, ০২:৩৫ এএম
  • ২৮ লাখ টাকায় নির্মিত কাঠের সেতু এক বছরের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে
  • ঠিকাদারের অনিয়ম ও দায়সারা কাজের অভিযোগ
  • স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা এলাকায় তিস্তার শাখা নদীর ওপর ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাঠের সেতুটি চালুর এক বছরের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে ওই স্থানে অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হলেও তা নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ গ্রামের হাজারো মানুষ পারাপার করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বেলকা খেয়াঘাট এলাকায় স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন দুই পাড়ের বাসিন্দারা। অবশেষে ২০২২-২৩ অর্থবছরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১.৩ মিটার প্রস্থ ও ১০৫ মিটার দীর্ঘ কাঠের সেতু নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এডিপি ও রাজস্ব খাত থেকে বরাদ্দ মেলে ২৭ লাখ ৫০ হাজার ২৫০ টাকা।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মেসার্স শাহানুর ইসলাম (ছানা) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদার নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়ম করেন এবং ২০২৩ সালের জুনে বিল উত্তোলনের পর দায়সারা কাজ শেষ করেন।

২০২৪ সালের ১৫ মে সেতুটি চালু করা হলেও মাত্র এক মাসের মাথায় ছয়টি আরসিসি গার্ডার দেবে গিয়ে অর্ধেক অংশ ভেঙে পড়ে। এতে এলাকার প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ পড়েন চরম দুর্ভোগে। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলেও সেটিও এখন ভেঙে পড়ার উপক্রম।

চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ বলেন, ‘স্থায়ী সেতু নির্মাণ না হলে বর্ষা মৌসুমে ২০ গ্রামের মানুষের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী জানান, ‘নতুন প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়ন করা হচ্ছে। অনুমোদন পেলে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘২৮ লাখ টাকা খরচ করে কাঠের সেতু নির্মাণের পরও আমাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। আগে নৌকা ছিল, এখন সেটাও নেই, নড়বড়ে সাঁকোই এখন ভরসা।’