বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার আলোহালী ব্লকে মালচিং পদ্ধতিতে আগাম টমেটো চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তরুণ চাষি সবুজ মিয়া (২৫)। তার এই সাফল্যে উৎসাহিত হচ্ছেন আশপাশের কৃষকরাও।
মালচিং হলো আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিভিত্তিক একটি পদ্ধতি, যেখানে বিশেষ ধরনের পলিথিন পেপার (মালচিং পেপার) দিয়ে জমি ঢেকে চারা রোপণ করা হয়। এতে গাছ থাকে রোগবালাইমুক্ত, পানির ব্যবহার কমে, সার ও ওষুধ খরচ সাশ্রয় হয় এবং ফলন হয় বহুগুণ বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় সর্বপ্রথম দুপচাঁচিয়ার আলোহালী ব্লকে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ শুরু হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে স্থানীয় কৃষকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে এই পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আলোহালী গ্রামের চাষি জুয়েল হোসেন (৩০), আরিফুল ইসলাম ও সবুজ হোসেনসহ কয়েকজন কৃষক যৌথভাবে ৩ হেক্টর (প্রায় ২২ বিঘা) জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করছেন। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে চারা রোপণ করে এখন তারা ফলন পর্যায়ে পৌঁছেছেন।
চাষি সবুজ মিয়া বলেন, ‘মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু এখন প্রতিটি গাছে বিপুল পরিমাণ টমেটোর কুঁড়ি ধরেছে। অনেকেই বাগান দেখতে আসছেন।’
আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে আমরা আগের তুলনায় অনেক বেশি ফলন পাচ্ছি। পানি ও সার খরচও কম।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আবেদীন বলেন, ‘কৃষকদের আমরা মালচিং পদ্ধতিতে চাষের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে গাছ দীর্ঘদিন টিকে থাকে এবং ফলনও বেড়ে যায়। এ পদ্ধতিতে চাষ সম্প্রসারণে আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও জানান, ‘আগামীতে দুপচাঁচিয়ায় আগাম টমেটোসহ অন্যান্য সবজিতেও মালচিং পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ানো হবে। এতে কৃষক লাভবান হবেন এবং এলাকার সবজির চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে।’

