ভোলার লালমোহন উপজেলায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মো. ইউসুফ নামে এক অটোরিকশা চালকের বসতঘর। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ উদ্দিন হাওলাদার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকা-ের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
অটোরিকশা চালক মো. ইউসুফ বলেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকাল বেলা অটোরিকশা নিয়ে বের হই। হঠাৎ এলাকা থেকে ফোন করে জানানো হয় আমার বসতঘরে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে এসে দেখি সবকিছু পুড়ে গেছে। ঘরের ভেতর থাকা কোনো কিছুই রক্ষা করা যায়নি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে টিনশেড এই বসতঘরটিতেই থাকতাম। গত এক বছর আগে ঘরটি নির্মাণ করেছি। আজ ঘরটি আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। এতে আমার অন্তত ৬ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। অটোরিকশা চালিয়ে সামান্য করি। এই আয় দিয়ে কিভাবে নতুন করে আবার ঘরটি নির্মাণ করবো তা নিয়েই এখন চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
লালমোহন উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আধা ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
খবর পেয়ে লালমোহন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত অটোরিকশা চালকের বসতঘর পরিদর্শন করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রেজওয়ানুল হক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পলাশ সমাদ্দার। তারা তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত অটোরিকশা চালককে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।

