গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রোপা আমন ধানে মাজরা পোকার আক্রমণে দুশ্চিন্তায় কৃষকেরা। এতে পোকার আক্রমণে ধানের শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে এবং ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। কৃষকরা জানান, প্রচলিত কীটনাশকেও তা দমন করা যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে, কীটনাশক প্রয়োগের পরেও পোকা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে ধানের ভালো ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছেন চাষিরা। কৃষকদের অভিযোগ, মাঠে কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকি নেই।
কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈরে এবছর প্রায় ৪,৬২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি মাজরা পোকার আক্রমণে ধানখেতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ক্ষতি। মাছি বা পোকার আক্রমণে ধানের পাতায় দাগ, গাছের কান্ডের নরম অংশ খেয়ে ফেলা হচ্ছে এবং শীষ শুকিয়ে ধানের শস্য নষ্ট হচ্ছে। এতে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার চাপুরিয়া, গোয়ালচালা, শিমুলিয়া, মজিদচালাসহ বিভিন্ন এলাকায় মাজরা পোকার আক্রমণে ক্ষতি হচ্ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা নিজেরাই নানা ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করছেন, কিন্তু ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকি না থাকায় কৃষকরা হতাশ। জাথালিয়া এলাকার আলেমন বেগম বলেন, ‘আমাদের এক বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করেছি, মাজরা পোকার আক্রমণে পুরো ধানখেত নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আমরা পরিবারসহ কীভাবে চলব বুঝে উঠতে পারছি না।’ চাপুরিয়ার কৃষকেরা সিদ্দিকুর রহমান, ইব্রাহিম, মজিবুর রহমান ও সোনা মিয়া জানান, ‘ধান চারা ভালোই ছিল, কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন বিষ প্রয়োগের পরও ধানের খেতের ক্ষতি হচ্ছে, কোনো ফল পাচ্ছি না। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে এসে পরামর্শও দিচ্ছেন না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান বলেন, ‘মাজরা পোকার আক্রমণের বিষয়টি আমরা শুনেছি। কৃষকরা যদি সরাসরি আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, আমরা মাঠে গিয়ে পরামর্শ দেব। তবে অভিযোগ পেলে তবেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন