*** অক্টোবরে এসএমপির অভিযান
অক্টোবর মাসে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) নগরজুড়ে মাদক, চোরাচালান ও বিভিন্ন অপরাধ দমনে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছে। মাসব্যাপী অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় চোরাচালান পণ্য জব্দসহ ৭২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে এসএমপির মিডিয়া অফিসার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অক্টোবর মাসে এসএমপির বিভিন্ন থানা, ডিবি ও ট্রাফিক বিভাগের যৌথ অভিযানে এই সাফল্য অর্জন হয়েছে।
এসএমপি সূত্রে জানা যায়, অক্টোবর মাসে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ১ হাজার ৭৩০ পিস ইয়াবা, ৪ কেজি ২২০ গ্রাম গাঁজা, ৭১৩ বোতল বিদেশি মদ, ১৪৫ লিটার চোলাই মদ এবং ২১ বোতল ফেনসিডিল। একই সময়ে ভারতীয় বিপুল পরিমাণ চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭ হাজার ৯২০ কেজি পেয়াজ, ২ হাজার ১০২ পিস শাড়ি, ৬৪টি কম্বল, ৫ লাখ ৮৮ হাজার শলাকা বিড়ি, ৩ হাজার ৭৪৩ পিস চকোলেট, ১ হাজার ৪২৫টি মেন্টস রেনবো চকোলেট, ৩৬৩ পিস সাবান, ১ হাজার ৬০০ পিস স্কিন কেয়ার ক্রিম, ৭৭০ প্যাকেট বিদেশি সিগারেট, ৯ হাজার ২১৪ কেজি চা পাতা, ১ হাজার ৪৪০ কেজি কেনু, ৫২ বস্তা জিরা, ২৬টি মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং প্রায় ৩৫ হাজার টাকার বিভিন্ন চকোলেট ও কসমেটিকস সামগ্রী।
এসএমপি জানায়, এসব পণ্য সীমান্ত এলাকা হয়ে অবৈধভাবে সিলেট নগরীতে আনা হচ্ছিল। উদ্ধার করা পণ্যগুলো কাস্টমস বিভাগে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
একই সঙ্গে অক্টোবর মাসে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ৭২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৫৬ জন চোর, ১৭ জন ছিনতাইকারী, ৬৩ জন মাদক ব্যবসায়ী, ১২২ জন জুয়াড়ি ও ১৯ জন অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তি। এ ছাড়া ১৪ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয় এবং ৬টি হোটেল সিলগালা করা হয়। অভিযানের সময় ১,৯৯১টি যানবাহন আটক করে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের দায়ে মামলা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নগরবাসীর নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। অক্টোবর মাসে আমরা মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য পেয়েছি। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব ও ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সিলেট মহনগর সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নগরীতে মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযানের গতি বেড়েছে, যা প্রশংসনীয়। তবে এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে নিয়মিত তদারকি ও বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘চোরাচালান পণ্য দমন হলে বৈধ ব্যবসা রক্ষা পাবে। এতে বাজারে পণ্যের মূল্যও স্থিতিশীল থাকবে বলে আমরা আশা করি।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন