জামালপুরের মেলান্দহে চৈতী নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণের দায়ে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদ-ে দ-িত করা হয়।
দ-প্রাপ্তরা হলেনÑ জেলার মেলান্দহ উপজেলার ভাংগুনী ডাঙ্গা এলাকার মোন্নাফের ছেলে মো. মজনু মিয়া (২৫), ইমান আলীর ছেলে মো. জহুরুল ইসলাম (৩৭)। একই উপজেলার রান্ধনিগাছা এলাকার মৃত হাতেম আলী খন্দকারের ছেলে হানিফ খন্দকার (৫৯) ও মো. আবুল কাশেমের ছেলে মো. মমিন মিয়া (৪০)। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, মেলান্দহ উপজেলার রান্ধনিগাছা এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে মোছা. হাবিবা আক্তার চৈতীকে আসামি মো. মজনু দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এরই জেরে বিগত ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলে আসামিরা চৈতীকে রাস্তা থেকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে নিয়ে যান এবং আটকে রাখেন। পরে ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ আসামি হানিফ উদ্দিনের বাড়ি থেকে গৃহবধূ চৈতীকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে চৈতীর বাবা মো. হাবিবুর রহমান ঘটনার দুই দিন পর ১১ ফেব্রুয়ারি চারজনকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় দীর্ঘ শুনানি ও চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আসামিদের উপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করেন আদালত। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম নবী।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন