মানিকগঞ্জের সিংগাইরে থানার পুলিশের ওসি জে ও এম তৌফিক আজম এবং জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন, গালিগালাজ, হুমকি ও অবৈধ আটক করার অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে। গত সোমবার সিংগাইর থানার আমলী আদালতে স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন এই মামলা দায়ের করেন। মামলার নম্বর সি.আর ৮৯৫/ সিং ২০২৫।
মামলার বাদী মনির হোসেন অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সাবেক সরকারি দল আওয়ামী লীগের সিংগাইর থানার সহসভাপতি ছানোয়ার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে তার শাশুড়ী রহিমা খাতুন গত ৫ জুলাই থানায় একটি এজাহার দিতে গেলে ওসি তৌফিক আজম তা গ্রহণ না করে উল্টো তাদের হুমকি-ধমকি দেন। বাদীর দাবি, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতার নাম শুনে ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘ছানোয়ার আমার খুব কাছের মানুষ, তার বিরুদ্ধে মামলা নিলে তোদেরই মিথ্যা মামলায় ফাঁসাব।’
মামলার বর্ণনায় আরও বলা হয়, ওই সময় ওসি রহিমা খাতুনসহ উপস্থিত স্বজনদের গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখান এবং হাজতে পাঠানোর হুমকি দিয়ে অপমান করেন। পরে বাদী ও তার স্বজনেরা প্রাণভয়ে থানাছাড়া হন। বিষয়টি মানবাধিকার সংগঠন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশনকে জানানো হলে সংগঠনের প্রধান পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে অভিযোগ পাঠান। পরে পুলিশ সুপারের অফিস থেকে সাক্ষীসহ উপস্থিত হওয়ার নোটিশ পান তারা।
বাদীর অভিযোগে বলা হয়, নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫ আগস্ট সাক্ষীদের নিয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। অভিযোগকারী পক্ষকে ‘অপমানজনক ও অশ্লীল ভাষায়’ গালিগালাজ করা হয়। এমনকি মানবাধিকার সংগঠনের নির্বাহী প্রধানকে লক্ষ্য করে এএসপি আপত্তিকর ভাষায় মন্তব্য করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুন বলেন, ‘আমাদের জানামতে আদালতে একটি আর্জি জমা পড়েছে, কিন্তু এখনো মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি। আদালত থেকেও কোনো আদেশ দেওয়া হয়নি।’

