বিধিবহির্ভূত নিয়োগ, অর্থ আত্মসাৎ, নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগে উল্লাপাড়া মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মজিদকে তার পদ থেকে অপহারণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) দেওয়া চিঠির নিদের্শনার আলোকে গত বৃহস্পতিবার স্কুল পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্কুলের সভাপতি ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমান এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। তবে আব্দুল মজিদ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো মিথ্যা এবং বিধিবহির্ভূতভাবে তাকে অপসারণ করা হয়ছে বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূত নিয়োগ, অর্থ আত্মসাৎ, ভর্তি বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনেন স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক সরেজমিনে অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা সংবলিত একটি প্রতিবেদন মাউশির ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠান। এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাউশির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক বি এম আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গত ২৯ অক্টোবর উল্লাপাড়া মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের সভাপতিকে পাঠানো হয়। চিঠিতে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদকে তার পদ থেকে অপসারণ করে সেখানে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক অথবা জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদানের নিদের্শনা দেওয়া হয়।
মোমেনা আলী বিজ্ঞান স্কুলের সভাপতি ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, মাউশির মহাপরিচালকের চিঠির নিদের্শনার আলোকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদকে তার পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব অপর্ণ করা হয়। এদিনই আব্দুল মজিদকে পরবর্তী কার্যদিবসে ক্ষমতা হস্তান্তরের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এটা তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক তার বিরুদ্ধে উল্লিখিত বিভিন্ন অভিযোগ এনে নিজেরা তদবির করে মাউশি থেকে তাকে অপসারণ সংবলিত একটি চিঠি করিয়েছেন। প্রচলিত বিধি অনুসারে তাকে অপসারণ করা হয়নি। তিনি দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগের কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।

