আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়নের সোনাউঠা গ্রামে দুই দফায় এক গৃহবধূকে (৩৮) ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার প্রথম দফা সংঘটিত হয় ২৩ অক্টোবর রাতে। ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ও ছেলে বাজারে থাকায় অভিযুক্তরা ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে ইমরান হাওলাদার এবং পরে সাইফুল হাওলাদার ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। আতঙ্ক ও লোকলজ্জার কারণে ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি প্রকাশ করেননি।
এক সপ্তাহ পর ৩০ অক্টোবর দুপুরে অভিযুক্তরা পুনরায় ওই নারীর বাড়িতে প্রবেশ করে পানি আনতে গিয়ে তাকে আবার ধর্ষণ করে। এ সময় ইমরাজ হাওলাদার ঘটনাটি ঘরের বাইরে বসে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করেন।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী রূপালী বাংলাদেশের প্রতিবেদককে জানান, অভিযুক্ত ও তাদের পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী। মামলা দেওয়ায় তারা পরিবারকে হুমকি দিয়েছে, ফলে বাড়িতেও পরিবার আতঙ্কে রয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমতলী থানার পরিদর্শক মো. সাইদুল ইসলাম জানান, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনসংক্রান্ত মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধিত ধারা ও পন্যগ্রাফি আইনে ১ নভেম্বর দায়ের হয়। একই দিন অভিযুক্ত ইমরান গ্রেপ্তার হন। আর ইমরান চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার মদনঘাটে আত্মগোপনে থাকাকালে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার এবং আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের কার্যক্রম চলমান। ভিকটিমকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষা করানো হয়েছে, রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, অভিযুক্তদের পরিবারের হুমকি প্রদানের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
