পটুয়াখালীর দশমিনায় ককটেল বিস্ফোরণ, লুটপাট ও চাঁদা দাবির অভিযোগে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে দশমিনা সদর ইউনিয়নের চরহাদি ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. কালু মৃধা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
দশমিনা থানা পুলিশ গত রোববার সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোফাজ্জল চৌধুরী মায়া, ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মোশারেফ রাড়ী, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য হানিফ, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা জব্বার, এবং যুবলীগ কর্মী কবির হোসেনসহ আরও একজন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ নভেম্বর তরমুজ চাষের জমি দখল নিয়ে বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভুক্তভোগীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় তারা প্রায় ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ৮-১০টি ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
দশমিনা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘তরমুজ চাষের জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চাঁদা দাবি, লুটপাট ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কালু মৃধা বাদী হয়ে ৩৭ জনের নামে মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।’ এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।

