বগুড়ার গাবতলীতে এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদ- ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-ে দ-িত করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান কবির এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাজেদুর রহমান পিন্টু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারের পর তাদের সাজা কার্যকর হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেনÑ আবুল কালাম ওরফে বাবুল (৩৫), মিশু (৩০) ও মানিক (৩২)। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্তরা হলেনÑ দেলোয়ার হোসেন দুলু (৬৮), আশিক (৩০) ও মাজেদুর রহমান পিন্টু (৪৬)।
রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শান্ত নামে এক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া দুই আসামি শিশু হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে চলছে।
পিপি আব্দুল বাছেদ বলেন, ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের বটিয়াভাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তোজাম্মেল হক (৪৫) বৈঠাভাঙ্গা গ্রামে তার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণ খেতে যান। দাওয়াত খেয়ে তোজাম্মেল ও তার চাচাতো ভাই নয়ন এবং আসাদকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দক্ষিণপাড়া এলাকায় পৌঁছালে একদল লোক তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। সেই সময় তোজাম্মেল ও নয়নকে কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়ার পথে তোজাম্মেল মারা যান বলে জানান পিপি আব্দুল বাছেদ।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদ- ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
পুলিশ জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরেই এ হত্যাকা- ঘটে। নিহতের বড় ভাই মমিন মামলার বাদী হিসেবে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার তদন্তে সিআইডির তৎকালীন ইন্সপেক্টর সকির উদ্দিন ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীর বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধের তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন