পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পাওনাদারের টাকা পরিশোধ না করায় এক যুবককে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবকের নাম মিজানুর রহমান (৪২)। গত বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার সাঈদখালী গ্রামের খালেক শেখের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। অবসর সময়ে স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতেন। সেই সুবাদে ট্রলারের মালিক খালেক শেখের ছেলে মহারাজের কাছ থেকে প্রায় চার মাস আগে অগ্রিম বাবদ পাঁচ হাজার টাকা নেন। এরপর থেকে তিনি বাড়ি ছাড়েন।
মঙ্গলবার শাশুড়ির মৃত্যুর সংবাদে বাড়িতে আসলে মহারাজ বিষয়টি জানতে পেরে কালাইয়া আবাসন এলাকার নিজ ঘর থেকে মিজানকে মহারাজ ও শাহীনসহ ৪-৫ জন মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে বাড়িতে আটকে রাখে বলে জানান স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত মহারাজের মা নেহেরুন বেগম বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম না। বিকেলে ফিরে এসে ঘটনাটি শুনে ঘরের দোতলায় গিয়ে দেখি, সে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে স্থানীয় ফরিদ, জামালসহ কয়েকজনকে ডাকি। তারা এসে দেখে সে মারা গেছে। এরপর পুলিশে খবর দিই।’
তবে নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামীকে মহারাজ ও শাহীনের নেতৃত্বে কয়েকজন ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে হত্যা করেছে। পরে তারা বিষ খাওয়ার নাটক সাজিয়েছে।’
ইন্দুরকানী থানার এসআই প্রশান্ত বালা বলেন, ‘খালেক শেখের বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে মিজানুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানান তিনি।’ পুলিশ আরও জানায়, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্ত খালেক শেখ, তার ছেলে মহারাজ ও শাহীন বর্তমানে পলাতক বলে জানা গেছে।

