মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হাইরাজ মাঝি, তালতলী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০১:৪৩ এএম

অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা

হাইরাজ মাঝি, তালতলী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০১:৪৩ এএম

অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে  পর্যটনের অপার সম্ভাবনা

সবুজে মোড়া বনাঞ্চল, নীল সাগরের গর্জন আর চরাঞ্চলের বৈচিত্র্যময় নৈসর্গ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এমন অনন্য সমাহার নিয়ে বরগুনার তালতলী দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটনের সম্ভাবনার কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হলেও পর্যাপ্ত উদ্যোগের অভাবে এখনো পূর্ণতা পায়নি। সাগরতটের অপরূপ নীরবতা, বনের শীতল ছায়া আর সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের রঙিন আবেশ মিলিয়ে তালতলী পর্যটকদের জন্য হতে পারে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় ইকো-ট্যুরিজম স্পট।

বঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষা তালতলী উপজেলার আশারচর, সোনাকাটা, টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চল, পাথরঘাটার লালদিয়া-হরিণঘাটা এবং বরগুনা সদরের সোনাতলা, সব মিলিয়ে এখানে রয়েছে বিস্তৃত পর্যটন সম্ভাবনা। তবে বছরের পর বছর সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের ঘাটতি ও পর্যাপ্ত প্রচারের অভাবে এ অঞ্চলের প্রকৃত সৌন্দর্য জাতীয় পর্যায়ের পর্যটন মানচিত্রে পুরোপুরি উঠে আসেনি।

তালতলী থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত বিস্তৃত টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চল, যার আয়তন ১৩ হাজার ৬৪৪ একর, ২০১০ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। তিন দিক ঘেরা বঙ্গোপসাগর ও বিভিন্ন খালবেষ্টিত এই বনে রয়েছে চিত্রল হরিণ, অজগর, কুমির, শূকর, বানরসহ বহু বন্যপ্রাণী। সারি সারি গেওয়া, কেওড়া, সুন্দরী ও তাম্বুলকাটা গাছের সজীবতা এই অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যকে করে তুলেছে আরও সমৃদ্ধ। পাশাপাশি শতবর্ষী রাখাইন জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, জীবনযাপন এবং ঐতিহ্য পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করে।

টেংরাগিরির পাশের সোনাকাটা সৈকতও অপেক্ষা করছে পর্যটন বিকাশের। বিশাল বালুচর, শান্ত পরিবেশ, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মায়াময় দৃশ্য এবং সমুদ্রবাতাসের প্রশান্তি ভ্রমণপিপাসুদের প্রতিনিয়ত টানে। প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের জন্য এ অঞ্চল সহজেই হয়ে উঠতে পারে বিকল্প বিনোদন কেন্দ্র।

পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দাবি, তালতলীর পর্যটন শিল্প বিকাশে সবচেয়ে জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জাতীয় প্রচার জোরদার করা। পাশাপাশি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহ, পর্যটনবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।

তাদের মতে, পরিকল্পিত উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারলে বরগুনার তালতলী অদূর ভবিষ্যতেই দেশের ইকো-ট্যুরিজমের নতুন কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। এতে শুধু স্থানীয় অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সুযোগই বাড়বে না, সমৃদ্ধ হবে জাতীয় পর্যটন খাতও।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!