হারিয়ে যাওয়ার দেড় যুগের বেশি সময় পর পরিবারের সদস্যদের কাছে ফিরলেন হনুফা বেগম (৪৫) নামে এক নারী। তাঁকে ফিরে পেয়ে আনন্দে ভাসছে পরিবারসহ পুরো গ্রাম।
জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ মানবিক টিম নামে একটি পেজে হনুফা বেগমের দুটি ছবিসহ একটি পোস্ট পেয়ে, হনুফা বেগমের সন্ধান চেয়ে, নিজের ফেসবুক আইডিতে তা প্রচার করেন জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজির আহমদ।
ইউপি সদস্যদের দেওয়া পোস্ট অনুযায়ী, তার পরেরদিন হনুফা বেগমের পরিচয়, নিশ্চিত করেন তাঁর বড় ভাই জৈন্তাপুর ইউনিয়নের খায়রুবিল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হেকিম। ও তাঁর স্বামী জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আমবাড়ি নলজুড়ি গ্রামের মো. তাজুল ইসলাম। হনুফা বেগমের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। পরে পোস্টে দেওয়া নি¤œ নম্বরে যোগাযোগ করে তার ছেলে সুমন আহমদ (২৮) জামালপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
রাত ২টার দিকে বাড়িতে পৌঁছানোর পর শুরু হয় আবেগঘন দৃশ্য-মা ও ছেলে ও পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনে কানায় ভরে ওঠে এলাকাবাসীর চোখ।
হনুফা বেগমকে দেখে পরিবারে নেমে আসে আনন্দের বন্যা। ছেলে-মেয়ে, স্বামী, ভাই-বোন সবাই কেঁদে ফেলেন খুশিতে। এলাকাবাসীরাও এই দৃশ্য দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তার এম ফিরে আসা আনন্দে ভাসছে পুরো এলাকা।
এ বিষয়ে হনুফা বেগমের ছেলে সুমন আহমদ জানান, মায়ের মানসিক কিছু সমস্যা ছিল, প্রায় ১৮ বছর পূর্বে তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার আর কোনো সন্ধান পাইনি। এক ফেসবুক পোস্টে সন্ধান পেয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। অবশেষে তাকে ফিরে পাব, ভাবিনি কখনো আল্লাহর রহমতে মাকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞতা ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার মাকে খুঁজে পেতে সহযোগিতাকারী সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি। মায়ের সুস্থতা ও মানসিক রোগমুক্তির জন্য সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নজির আহমদ জানান, আবারও প্রমাণ হলো সামাজিক সংগঠনগুলো আমাদের সমাজের জন্য কতটা উপকারী আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি বাংলাদেশ মানবিক টিম নামের সব সদস্যকে। এটি একটি ফেসবুক পোস্টে একটি পরিবারের হাসিখুশি ফিরে এলো। এটি বিরল উদাহরণ হয়ে থাকবে। এ ধরনের ভালো কাজগুলো সমাজের তরে অব্যাহত থাকুক সবসময়।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন