কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জমি কিনে মহিলা মাদ্রাসার যাতায়াতের সড়ক তৈরি করা হলেও তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর উপজেলার চন্দ্রশেখরদীতে অবস্থিত ওই মাদ্রাসায় যেতে সড়ক ব্যবহারের সময় ছাত্রীদের বাঁধা দেন এবং বেড়া দিয়ে সড়ক বন্ধ করে দেন সড়ক প্রতিক্ষের লোকজন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা কাউছার আলম বলেন, আমার বাবা আবুল কাশেম সরকার স্থানীয় বাসিন্দা শাহাজালালের পিতা আব্দুল জলিলের কাছ থেকে ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সাবরেজিস্টার অফিসের মাধ্যমে দলিল নং ৪৫৯২ চন্দ্রশেখরদী মৌজায় সিএস ৬০১, দাগ নং-১৯, বিএস-৬৪৬ দাগের বাড়ী ১৪৮ শতকের মধ্যে আমার বাবা ৫ শতক জমি ক্রয় করেন। বর্তমানে এই জায়গায় মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ শাহাজালাল গত ১৬ অক্টোবর দলবল নিয়ে ক্রয়কৃত জমি হওয়া ওই মাদ্রাসায় ছাত্রীদের যেতে বাঁধা দেন এবং যাতায়াতের সড়ক বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের ছাত্রী শাহনাজ খাতুন বলেন, মাদ্রাসা যাতায়াতের সড়ক বেড়া দিয়ে ঘরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা মাদ্রাসায় যেতেও পারছিনা আবার বের হতেও পারছিনা।
আরেক ছাত্রী বিউটি আক্তার বলেন, সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় মাদ্রাসার রুম আবদ্ধ থেকে আমরা মানবতার জীবন-যাপন করছি। এ সময় সে মাদ্রাসার সড়কটি খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানান।
এ বিষয় অভিযুক্ত শাহাজালালের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বিটিশ^র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, চন্দশেখরদী গ্রামের মহিলা মাদ্রাসার যাতায়াতের সড়ক বন্ধের অভিযোগ শুনে স্থানীয়দের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করেছি। আমরা কিছুদিনের মধ্যে দুই পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিমাংসা ব্যবস্থা করবো।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন