সুনামগঞ্জের ছাতকে মুরগি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের দড়ারপার ও মনিরগাতি-কুম্বায়ন গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন আবু বক্কর (৩৫), লোকমান মিয়া (৪৫), ফয়সাল আহমেদ (২৫), লাহিন মিয়া (২২), মো. সাকলাইন মিয়া (২৬), গিয়াস উদ্দিন (৫০), মো. নাহিদ মিয়া (২০), জামাল হোসেন (৪০), সফর আলী (৩৫)। গুরুতর আহতদের স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনিরগাতি-কুম্বায়ন গ্রামের নাহিদ মিয়ার বিরুদ্ধে দড়ারপার গ্রামের আবু বক্করের বাড়ি থেকে একাধিকবার দেশীয় মোরগি চুরির অভিযোগ রয়েছে। গত শুক্রবার রাতেও আবু বক্করের একটি মুরগি চুরি হওয়ার পর তিনি নাহিদের বাড়িতে গিয়ে প্রশ্ন করেন। এ সময় নাহিদের ভাইসহ কয়েকজন আবু বক্করকে আটক করে রাখেন।
এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে দড়ারপার গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘটনাস্থলের ছুটে যায়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে নাহিদের বাড়ির সামনে উত্তেজনা বাড়ে এবং দ্রুতই তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। একপর্যায়ে গ্রামসংলগ্ন পাকা ব্রিজ এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের ৬০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ছাতক থানার পুলিশ, জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা এবং সেনাবাহিনীর একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানতে চাইলে ছাতক থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম খান জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে টহল অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

