মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৭:২৬ এএম

ড্রেজার দিয়ে খাল খনন, ভেঙে পড়ছে সড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ০৭:২৬ এএম

ড্রেজার দিয়ে খাল খনন,  ভেঙে পড়ছে সড়ক

*** চলাচলে দুর্ভোগে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি ও বংকুরা এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে খাল খননের ফলে পাশের সড়ক ভেঙে খালের মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী স্থানীয় মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ, পানি সেচ দিয়ে খালের মাটি তুললে সড়ক ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি কম থাকত। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী নিয়ম না মেনে পানিভর্তি খালে ড্রেজার বসিয়ে কাজ করায় দিন দিন বাড়ছে সড়ক ভাঙন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ২০২৪ সালে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ১৭ হাজার টাকার প্রকল্পে গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট খাল পুনঃখননের কাজ শুরু হয়। শর্ত অনুযায়ী প্রথমে পানি সেচ দিয়ে পরে খনন করার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আতাউর রহমান খান লিমিটেড তা অনুসরণ করেনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, হিরণ ইউনিয়নের বংকুরা এলাকায় বীর বিক্রম হেমায়েত উদ্দিন সড়কের বড় অংশ ভেঙে খালে পড়ে গেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৬১ নম্বর মাঝবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বংকুরা মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

বংকুরা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এই রাস্তা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। কালকে রাতেই গাছসহ বড় অংশ ভেঙে খালে পড়েছে। হাঁটা আর সাইকেল নিয়ে যাওয়া খুব ভয় লাগে।’

স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চুক্তির নিয়ম না মেনে লোক দেখানো কাজ করছে ঠিকাদাররা। কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হলেও কাজের মান নেই। জবাবদিহিতা না থাকায় এই অবস্থা।’ এদিকে চলতি অর্থবছরে উপজেলার আরও নয়টি খাল পুনঃখননের কাজ পানি সেচ ছাড়া পানির মধ্যেই এস্কেভেটর দিয়ে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আতাউর রহমান খান লিমিটেডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাউদ্দিন বলেন, ‘সেচ দিলে রাস্তার ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, তাই ড্রেজার দিয়ে কাজ করছি। রাস্তা যেখানে ভাঙবে, আমরা তা মেরামত করে দেব।’ এ বিষয়ে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ‘ভৌগোলিক কারণে পানি সরানো সম্ভব হয়নি। সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাগুপ্তা হক বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ স্থানীয়দের দাবি, মানসম্পন্ন ও নিয়ম মেনে কাজ না হলে শুধু রাস্তা নয়, পুরো এলাকা নতুন বিপদে পড়বে। তারা দ্রুত পরিস্থিতি সমাধানের দাবি জানিয়েছেন।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!