রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যাকা-ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। গতকাল রোববার বিকালে আনসার বাহিনীর খিলগাঁও সদরদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হত্যাকা-ের সময় আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের সময়সীমা ও অবস্থান ছিল রোস্টার অনুযায়ী সীমাবদ্ধ। মিটফোর্ড ৩ নম্বর গেট এলাকায় বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে এ হত্যাকা- ঘটে। অথচ সেখানে দুপুর ২টার পর কোনও আনসার সদস্যের দায়িত্ব ছিল না।
তিনি জানান, আনসার সদস্যরা হাসপাতালের নির্ধারিত রোস্টার অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করে থাকেন, যার নিয়ন্ত্রণ থাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের, বিশেষ করে হাসপাতালের পরিচালক ও ডিডির (প্রশাসন) অধীনে। ঘটনার দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩ নম্বর গেটে একজন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ওই স্থানে আর কোনও আনসার সদস্য মোতায়েন ছিল না।
মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, ঘটনার সময় শতাধিক মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন, অনেকে ভিডিও করছিলেন, কিন্তু কেউ আনসার ক্যাম্পে গিয়ে খবর দেননি, ফোনও করেননি। যখন প্লাটুন কমান্ডার খবর পান, তখন তিনি দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসেন, কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। ভিকটিমকে পরে গেটের ভেতরে টেনে নেওয়া হয়। আনসার সদস্যদের দায়িত্বের সীমানা হাসপাতালের রোস্টার অনুযায়ী নির্ধারিত। রোস্টারের বাইরে গিয়ে দায়িত্ব পালনের অধিকার বা অনুমতি তাদের নেই। হাসপাতালের বাইরে ঘটনার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশও দেওয়া হয়নি।
আনসার ডিজি বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনায় দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের মতো আমরাও শোকাহত। নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আনসার ডিজি অভিযোগ করে বলেন, একটি পেশাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার মতো ভিত্তিহীন অভিযোগ দুঃখজনক এবং হতাশাজনক। আনসার সদস্যরা দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার সীমানা, রোস্টার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার বাইরে কিছু করতে পারেন না। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় চাইলে আমরা ডিপ্লয়মেন্ট প্রত্যাহার করতে পারি না। তা না হলে এমন অব্যবস্থাপনার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হতো।