অন্তর্বর্তী সরকারের পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা এ বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হবে। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা সরকারের সিদ্ধান্তে হবে না, এটি হবে জনগণের সিদ্ধান্তে। তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষ যেভাবে চাইবে সেভাবেই বাস্তবায়ন হবে। দ্রুতই সমীক্ষার কাজ শুরু হবে। তিস্তাপাড়ের জনগণের সঙ্গে কথা বলে বাস্তবায়িত হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা তীরবর্তী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা মূলত বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগ। কাজেই এটি চূড়ান্ত করতে উভয় দেশের সম্মতি প্রয়োজন। এই কয়েক মাসে আমরা বাস্তবায়নের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ১৭ জুলাই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মূল পাঁচটি বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করা হবে। এরপর এ প্রস্তাবনা প্রথমে সরকারের কাছে যাবে। সরকারের অনুমোদনের পর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডির) মাধ্যমে চূড়ান্ত হলে চীন সরকারের কাছে যাবে। চীন বিস্তারিত মূল্যায়ন শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিলে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সফরসূচিতে প্রথম দিন মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা এবং ঘড়িয়ালডাঙ্গা খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (দ্বিতল ভবন) সংলগ্ন তিস্তা নদীর চলমান কাজ পরিদর্শন, তিস্তার বাম তীর দাড়িয়ালপুল এলাকার পরিদর্শন, দুপুরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার পাথরভাঙ্গা রেলসেতু থেকে তিস্তা নদীর ডান তীর পরিদর্শন, রংপুরে তিস্তা নদীর চলমান কাজ ও শ্যামা সুন্দরী খাল পরিদর্শন করেন। দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘জুলাই শহিদ দিবস ও আবু সাঈদ দিবস ও শহিদ আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাৎ বার্ষিকী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগদান, বিকেলে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ভাড়ারদহ বিল পরিদর্শন করবেন।
