এখনো পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ওয়ানডের পর ২০২৪ সালে পাকিস্তানিদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়েছে টাইগাররা। এবার বাংলাদেশের সামনে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি। আজ মিরপুরে সন্ধ্যা ৬টায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এ ম্যাচ জিতলে ২-০ ব্যবধানে তিন ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নেবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে দাপুটে জয় তুলে নেন তারা। তাই দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের ছন্দ ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের আক্ষেপ ঘোচানোর দারুণ সুযোগ লিটনদের সামনে।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মিরপুরের উইকেটে বাজিমাত করেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে মোস্তাফিজুর রহমান জাদুকরি বোলিং পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেন। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে শিকার করেন ২ উইকেট। দেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার হিসেবে রেকর্ড গড়েন মোস্তাফিজ।
পেস অ্যাটাকে তাসকিন, তানজিমরাও ছিলেন দুর্দান্ত। পাশাপাশি শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন ও শামীম পাটোয়ারীরাও মায়াবি স্পিনে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনেন। বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের সামনে অসহায় দেখা যায় পাকিস্তানি ব্যাটারদের। আর ব্যাটিংয়ে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পারভেজ হোসেন ইমন বার্তা দিলেন, মিরপুরের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক ছিল। যদিও ম্যাচশেষে পাকিস্তান দলের কোচ মাইক হেসন মিরপুরের উইকেট নিয়ে অভিযোগ করেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই উইকেট অগ্রহণযোগ্য।’ তবে ম্যাচশেষে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশের ব্যাটার ইমন বলেছেন, উইকেট তার কাছে এমন কিছু মনে হয়নি। এই উইকেটে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে ব্যাটিং করতে পারলে স্কোর বোর্ডে ভালো রান জমা করা যায়। মিরপুরের উইকেটে পাকিস্তানের ব্যাটাররা রান তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। উইকেট নিয়ে দুদলের এমন মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে আজ আবার লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। গতকাল দুদলই বিশ্রামে সময় কাটিয়েছে। মিরপুরে অনুশীলন সেশন ছিল না তাদের।
এক দিন পরই যেহেতু ম্যাচ, তাই বিশ্রাম নিয়েই মাঠে নামছে দুদলের খেলোয়াড়রা। সিরিজ শুরুর আগেই বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস বলেছিলেন, রেকর্ড গড়তে যেমন সময় লাগে না, ভাঙতেও সময় লাগে না। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান যে টানা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়েছে, সেটিই ভেঙে যেতে পারে আজ-ই। সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় আর সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়- এ দুটি বাংলাদেশকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।
অন্যদিকে, সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকবে পাকিস্তানিরা। সালমান আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের তারুণ্যদীপ্ত দল খেলছে। তাদের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার দলে নেই। তবে সিরিজে তাদের শুরুটা আশানুরূপ হয়নি। প্রথম ম্যাচে যেভাবে হেরেছেন তারা, সেটি হয়তো ভাবনায় ছিল না তাদের। যাইহোক, হতাশা ভুলে সিরিজে ফেরার মিশন নিয়ে মাঠে নামবেন সালমানরা। আশা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি উপভোগ্য হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ ছড়াবে। আজ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয় নাকি পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, সেটিই দেখার অপেক্ষা।
আপনার মতামত লিখুন :