জুনিয়র হকি বিশ^কাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ হকি দলের ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৪৫ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৪৪ জনই হলেন বিকেএসপির। একমাত্র নাজমুস সাবিদ মাহমুদ বাইরের খেলোয়াড়।
ওস্তাদ ফজলুল একাডেমি থেকে উঠে এসেছেন সাবিদ। বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে বাংলাদেশ সিনিয়র হকি দলেও খেলার লক্ষ্য তার। হকি ক্যাম্প চলাকালীন সাবিদ নিজের ব্যাপারে অনেক কিছুই শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওস্তাদ ফজলুলের কাছেই আমার হাতেখড়ি। আমি ওস্তাদ ফজলুল একাডেমির ছাত্র। সেখান থেকে অনূর্ধ্ব-২১ দলে এসেছি। ২০২৪ সালে স্কুল দলের অধিনায়ক ছিলাম।
আগের বছর আমি দ্বিতীয় বিভাগে খেলেছি। সেখানে সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় ছিলাম। এখানে কম্পিটিশন অনেক। ক্যাম্পে আসা তাদের অনেককে আগে থেকে চিনতাম। তবে মানিয়ে নেওয়াটা চ্যালেঞ্জিং হবে।’ কে কে চূড়ান্ত দলে সুযোগ পাবে বলে মনে করেন? সাবিদ বলেন, ‘কে সুযোগ পাবে এটা দেখার বিষয় না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড হকি। আমার বাবা হকি খেলেছে। রাসেল মাহমুদ জিমি সম্পর্কে আমার চাচা। আমার বাবার দুঃসম্পর্কের ফুফাতো ভাই। তবে আমি ভাই বলে ডাকি।’ ভবিষ্যতে নিজের ইচ্ছা প্রসঙ্গে সাবিদ বলেন, ‘অবশ্যই বড় দলে খেলার ইচ্ছা আছে৷ জিমি ভাইয়ের কাছ থেকে টিপস নেওয়া হয়। পেনাল্টি কর্নারে যেহেতু আমি পুশার।’ এদিকে অপর খেলোয়াড় রকি বিশ^কাপ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা খেলার জন্য খেলব না। তাহলে তো দুই মাসের ক্যাম্প করতাম। ফেডারেশন বড় কছু ভাবনা নিয়েই আমাদের চার মাস আগে ডেকেছে।
চ্যাম্পিয়ন হওয়া কঠিন। এর জন্য লম্বা পরিকল্পনা লাগে। আমরা নিজেদের মধ্যে লক্ষ্য ঠিক করেছি অন্তত সেমিফাইনাল খেলার। হকি গোল বলের খেলা। কখন কার দিন ভালো যায় বলা যায় না। সেটা নির্ভর করে গেমপ্ল্যানের ওপর। আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ। কারণ ফেডারেশনের অবস্থা কী আমরা জানি। এটা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।’ বিশ^কাপ দলের ক্যাম্পে সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত মেহরাব। এই খেলোয়াড়ে বলেন, ‘বড় রোমাঞ্চ কাজ করছে। আমারা আগে দেখেছি, ক্রিকেট ফুটবল বিশ্বকাপে খেলেছে। হকিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে পারছিÑ এটা অনেক বড় পাওয়া। ফেডারেশন যদি স্পনসর না পায়, তাহলে এত বড় ক্যাম্প চালানো যায় না। যেহেতু আমাদের ফরেন কোচ আসবে, খাবার দাবারের ব্যাপারও আছে।
আমাদের কোনো আক্ষেপ নেই। এত তাড়াতাড়ি যে আমরা শুরু করতে পেরেছি, সেটাই অনেক। বাইরের অনেক দেশও চার মাস আগে ক্যাম্প করতে পারে না। তারা হয়তো এক মাস আগে ক্যাম্প করে।’
আপনার মতামত লিখুন :