বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০১:১২ এএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ফিরে দেখা

‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৫, ০১:১২ এএম

‘মার্চ ফর জাস্টিস’  কর্মসূচিতে পুলিশের  বাধা

জুলাই গণঅভুত্থান ঘিরে হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা ও গুমের প্রতিবাদে গত বছর আজকের এই দিনে সারা দেশে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

কর্মসূচি পালনকালে বিভিন্ন জায়গায় লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। সব মিলিয়ে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্থানে আহত হন অন্তত ৯০ জন। আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মুক্তি, শিক্ষার্থী হত্যা, গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। রাতে টেলিগ্রাম অ্যাপে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি। 

মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন দুপুর ১২টা থেকে হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকায় জড়ো হন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। পরে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। হাইকোর্টের ভেতরে আইনজীবীদের একটি দলও মিছিল করে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ বেলা ১টার দিকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। একপর্যায়ে তারা দোয়েল চত্বরে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে সমাবেশ করেন। বেলা ৩টার দিকে সেখান থেকে তারা চলে যান। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকেরাও অংশ নেন। এদিন বেলা ১টার দিকে কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনসংলগ্ন মহুয়া মঞ্চের সামনে জড়ো হন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এদিন সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। শিক্ষার্থীরা বাধা পেরিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। এদিকে পরদিন বৃহস্পতিবার নতুন কর্মসূচি ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

এদিন আন্দোলনের সহসমন্বয়ক রিফাত রশিদের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থী নির্যাতনের ভয়ংকর দিন-রাতের স্মৃতিচারণ করা হবে। শহিদ ও আহতদের নিয়ে পরিবার ও সহপাঠীরা স্মৃতিচারণ করবেন। শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে চিত্রাঙ্কন, গ্রাফিতি, দেওয়াললিখন, ফেস্টুন, ডিজিটাল পোর্ট্রেট প্রভৃতি তৈরি করা হবে। 

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রশ্নে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই পক্ষ। দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে প্রথমে সংগঠনটির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে সমিতির সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন।
এদিন বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম দফার এই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

তবে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির আলোকে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে বলে এদিন ইইউর এক মুখপাত্র জানান। ছাত্রদের কোটা আন্দোলন ও দেশের পরিস্থিতি সহিংস হওয়ার মধ্যেই অনেক মন্ত্রী-এমপি দেশ ছাড়েন। দেশের পরিস্থিতি নাজুক দেখে বিদেশ থেকে ফ্লাইটের টিকিট কেটে ঢাকা ছাড়েন অনেক প্রভাবশালী। তারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, চীন ও দুবাই পাড়ি জমান। ১৪ দিন পর বাংলাদেশে সচল হয় ফেসবুক, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

দিন বেলা ৩টার পরপরই এগুলোর ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিকে কেন্দ্র করে ‘আন্দোলনকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের’ মতো বিষয়গুলোতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে ভবিষ্যৎ নির্যাতন বন্ধে দীর্ঘ মেয়াদে নিরাপত্তা খাতের সংস্কার জরুরি বলে জানান জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!