ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

ইয়ামালের মধ্যে ব্রাজিলের রোনালদোর ছায়া

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০৮:০৭ এএম

প্রতিভাবান ফুটবলার লামিনে ইয়ামালের মধ্যে ব্রাজিলের রেনালদোর ছায়া দেখতে পাচ্ছেন মার্কাস রাশফোর্ড। এত অল্প বয়সে এত ভালো মানের ফুটবলার আগে দেখেননি তিনি। যদিও এক মাসও হয়নি বার্সেলোনায় নাম লিখিয়েছেন রাশফোর্ড। ইয়ামালের সঙ্গে তার এখনো পুরো একটি ম্যাচও খেলা হয়নি। গত ২৩ জুলাই ম্যানচেস্টার ইউনাটেড থেকে ধারে বার্সেলোনায় যোগ দেন রাশফোর্ড। নিবন্ধন নিয়ে প্রাথমিক জটিলতা কাটিয়ে কাতালান ক্লাবটির হয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে তার অভিষেক হয় গত শনিবার লা লিগার ম্যাচে।

রিয়াল মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে মাঠে নামানো হয় তাকে। দলের ৩-০ গোলের জয়ে সেদিন ১টি গোল করেন ইয়ামাল। ইয়ামালকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা বলতে ওই ম্যাচের কিছু সময় আর কদিনের অনুশীলন, কিন্তু যা বোঝার বুঝে গেছেন রাশফোর্ড। কাতালান পত্রিকা স্পোর্তকে শোনালেন তার অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘তার যে বয়স, আমি যতজনের সঙ্গে খেলেছি, এই বয়সিদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিভাবান ফুটবলার সে। এই বয়সে মাঠে যতটা প্রভাব সে রাখে, এমন কারও সঙ্গে আমি আগে খেলিনি বা দেখিনি।

হয়তো রোনালদো নাজারিও ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এত কম বয়সে মাঠে এতটা প্রভাব রাখা এবং এতটা ধারাবাহিকভাবে, এটা স্রেফ অবিশ্বাস্য। তার সামনে দীর্ঘ গৌরবময় ক্যারিয়ার পড়ে আছে। আশা করি, সে এটা ধরে রাখবে এবং আরও উন্নতি করবে।’ মাত্রই গত মাসে ১৮ পূর্ণ হলো ইয়ামালের। এই বয়সেই তিনি বার্সেলোনার তো বটেই, বিশে^র সেরা ফুটবলারদের একজন। গত বছর স্পেনের ইউরো জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। গত মৌসুমে বার্সেলোনার লা লিগা, কোপা দেল রে ও সুপার কাপ জয়ে তিনি পারফর্ম করেছেন অসাধারণ।

এবার ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াইয়েও তিনি আছেন ভালোভাবেই। এবার না হলেও সামনে এই পুরস্কার পাবেন ইয়ামাল, নিশ্চিত রাশফোর্ড। তিনি বলেন, ‘সে অবশ্যই জিততে পারে (ব্যালন ডি অর)। এ বছর যদি না-ও জেতে, ভবিষ্যতে অবশ্যই জিতবে। দেম্বেলে, রাফিনিয়াÑ তাদের সবারই প্রাপ্য এটা। কোনো একজনকে বেছে নেওয়া কঠিন। তবে ওরা সবাই দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছে। লামিনের বয়স এত কম, সে অবশ্যই জিতবে ভবিষ্যতে।’ এই বয়সেই ইয়ামাল যতটা পরিণত, সেটিই সবচেয়ে বেশি অবাক করে রাশফার্ডকে। তিনি বলেন, ‘সে শীর্ষমানের প্রতিভা, দুর্দান্ত ফুটবলার। আমার কাছে সবচেয়ে যেটা বিস্ময়রকর লাগে, এই বয়সেই সে কতটা পরিণত, সে যেভাবে ভাবে ও খেলে! বয়সকে ছাপিয়ে গেছে সে। তার সঙ্গে খেলাটা রোমাঞ্চকর।’ ইয়ামালকে নিয়ে তিনি মুগ্ধ হলেও তার সামনে চ্যালেঞ্জ নতুন ক্লাবে মুগ্ধতা ছড়ানো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অনেকটা ব্রাত্য হয়ে পড়ে গত মৌসুমে ধারে অ্যাস্টন ভিলায় যেতে হয়েছিল তাকে।

এবার ধারেই এসেছেন বার্সেলোনায়। নতুন চ্যালেঞ্জে মানিয়ে নিতে তিনি মরিয়া। মাঠের ফুটবলেই শেখার পথ ধরে নিজেকে প্রমাণ করতে চান ২৭ বছর বয়সি ফরোয়ার্ড। তিনি বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি এই আবহে দলের গতি ও ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। সেটা করার সেরা জায়গা হলো মাঠ। অবশ্যই ভুল করব। তবে ভুল থেকে শিখব এবং উন্নতি করব। এখানে যে মানের ফুটবলাররা আছে, এটাও দারুণ সহায়ক। আমার জন্য শেখার সবচেয়ে ভালো জায়গা হলো মাঠ।’