চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে স্কোয়াডে ফেরানো হয় ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমকে। ওই সিরিজে একটি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ২৯ বলে ৩২ রান করেন। পরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৮ বলে ৩ ও ১৯ বল খেলে ১০ রান করেন নাঈম। এশিয়া কাপ ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। কেন নাঈমের দলে জায়গা হলো না? জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘কাউকে দল থেকে বাদ দেওয়ার আগে অনেক কিছুই চিন্তা করতে হয়Ñ তিনি সামর্থ্যরে কতটুকু করতে পারলেন বা তাকে যতটুকু সুযোগ দেওয়া হলো, সেটা যথেষ্ট কি না।
আমাদের কাছে মনে হয়েছে, নাঈম কঠোর পরিশ্রম করেছে। তিনি যে প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছেন, আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম তিনি তার জায়গাটা ধরে রাখতে পারবেন।’ নাঈম তা না পারায় নির্বাচকদেরও যে হতাশা আছে, তা জানালেন লিপু। তিনি বলেন, ‘সেটা (জায়গা ধরে রাখতে পারলে) তার ও দলের জন্য ভালো হতো। দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি। আরেকটু কম চ্যালেঞ্জে টপ অ্যান্ড ক্রিকেটে সেখানেও তিনি ভালো করতে পারেননি। আমার বিশ্বাস, নাঈম শেখ এখন জানে, তাকে এই জায়গাটা পুনরুদ্ধার করতে হলে আরও উন্নতি করতে হবে।’ এদিকে, নুরুল হাসান সোহানকে দলে নেওয়ার কারণ হিসেবে লিপু বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমাদের লাইক টু লাইক বদলির জায়গায় অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ কিংবা পারফরমার নাই।
আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং আস্থার জায়গাটা হলো তার খেলার অ্যাপ্রোচ এবং প্যাটার্নÑ বিশেষত পাঁচ-ছয়ে আমরা মনে করি খুব ভালো পছন্দ, জাকের আলীর ব্যাকআপের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে তাকে সেরা মনে করছি।’ সোহানের মতো সাইফ হাসানকেও বিকল্প হিসেবেই দলে রাখা হয়েছে বলে জানান লিপু। তিনি বলেন, ‘এক ওভার-দুই ওভার তিনি করে দিতে পারবেন। তিন-চার নম্বরে এবং যদি ওপেনার দরকার হয়, সেই আলোকে সাইফের দিকে চোখ ছিল।
এবার তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমরা এ রকম বিভিন্ন জায়গায় অবদান রাখতে পারে এমন খেলোয়াড় খুঁজছি।’ ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপে বাংলাদেশ খেলবে ‘বি’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকংয়ের বিপক্ষে। এশিয়া কাপের আগে ৩০ আগস্ট সিলেটে শুরু হবে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ।